বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ আগস্ট ৬, ২০২১ সময়ঃ ১২:২৭ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার, দিগন্তবার্তা, ৬ আগস্টঃ
ময়মনসিংহের ভালুকায় ওএমএস’র চাল-আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে উঠেছে। নীতিমালার শর্ত ভঙ্গের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোখলেছুর রহমান নামে এক ব্যক্তির ডিলারশীপ বাতিল করে বিক্রয়কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভালুকায় গত ২৫ জুলাই থেকে পৌর এলাকার চারটি স্পটে চারজন ডিলারের মাধ্যমে খোলা বাজারে ওএমএস’র চাল-আটা বিক্রি শুরু হয়। প্রতি ডিলারকে প্রতিদিন এক হাজার ৫০০ কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা বরাদ্ধ দিয়ে জনপ্রতি ৫ কেজি বিক্রির সর্তে চাল ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা দরে এবং প্রতিজন ক্রেতাকে স্বাক্ষর বা টিপসহি নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, একই ব্যক্তির কাছে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ৫ কেজির স্থলে ১৫ থেকে ২০ কেজি এমনকি তারও বেশি বিক্রি করছেন ডিলাররা। আর এসব বিক্রির সময় ক্রেতার স্বাক্ষর বা টিপসহি না নিয়ে নিয়মবর্হিভূতভাবে খাতায় নিজেই স্বাক্ষর করে নিচ্ছেন ডিলার নিজে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় সরেজমিন পৌরসভার কলেজ গেট এলাকায় অবস্থিত ওএমএস ডিলার আব্দুল মালেকের বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, লাইন ধরে চাল-আটা ক্রয় করছেন ক্রেতারা। একই ব্যক্তি নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ৫ কেজির স্থলে ১৫ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত ক্রয় করছেন। আর এসময় ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে খাতায় স্বাক্ষর করছেন ডিলারের নিয়োগকৃত লোক। ট্যাগ অফিসার উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকতার্ সাইদুর রহমানকে তার মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে জানা যায়, তিনি ১০ কিলোমিটার দুরে সিডষ্টোর বাজারে অবস্থিত তার অফিসে অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে ডিলার আব্দুল মালেক অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তিনি নতুন ডিলারশীপ নিয়েছেন। তাই তার নিয়মে ভুল হয়েছে, এসব ভুল ঠিক করে নিবেন বলে জানান।
পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থানারমোড় এলাকায় অবস্থিত বিক্রয়কেন্দ্রের ডিলার মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠায় দুইদিন বিক্রয় বন্ধ রাখা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই ডিলারের ট্যাগ অফিসার ছিলেন, ফুড অফিসের উপখাদ্য পরিদর্শক রুমানা আক্তার। তিনি অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং বিক্রয়কেন্দ্রে অনুপস্থিতির কারণে বিভিন্ন অনিয়ম করে যাচ্ছিলেন এই ডিলার। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ডিলারশীপ বাতিল করে মেজরভিটা এলাকার ডিলার মতিউর রহমানকে বিক্রির জন্য চিঠি প্রদান করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, বাজারে চাল ও আটার দাম বেশি থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারদের অনুপস্থিতির সুযোগে অসাধূ ডিলারগন সমুদয় চাল ও আটা নির্দিষ্ট নিয়মে বিক্রি না করে মাস্টাররোলের খাতায় নিজে ক্রেতার স্বাক্ষর ও টিপসহি ব্যবহার করে মালামালের স্টক দেখিয়ে থাকেন। পরে ওইসকল মালামাল সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।
বাতিলকৃত ডিলার মোখলেছুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য কর্মকতার্ বুলবুল আহমেদ জানান, পৌরসভার থানামোড় এলাকার ডিলার মোখলেছুর রহমানকে ডিলারশীপের নীতিমালার শর্ত ভঙ্গের কারণে তার ডিলারশীপ বাতিল করে পাশের ডিলার মতিউর রহমানকে ওই স্থানে বিক্রির জন্য চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। মাস্টাররোলের খাতায় ডিলার নিজে ক্রেতার স্বাক্ষর ও টিপসহি দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ ব্যাপারে নিরব থাকেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com