প্রকাশিত হয়েছেঃ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩ সময়ঃ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি অর্থবছরে রূপগঞ্জে ২৩ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে কাঠবেলি (গাজরা) ফুল চাষ হয়েছে ৫০ বিঘা জমিতে। চেরি, চায়না গাঁদা চাষ হয়েছে ৩৪ বিঘায়।
রূপগঞ্জে এক যুগ ধরে ফুলের চাষ করেন মিয়াবাড়ির নাঈম মিয়া, দীঘিরপাড় এলাকার অতুল মণ্ডল, সাধন মণ্ডল, শহিদুল্লাহ, মুইরাব এলাকার পেয়ার আলী, নজু মিয়া, সোলমান, জালু এবং পোরাব এলাকার নুরুল মিয়া। পিয়ার আলী জানান, এবার তিন বিঘা জমিতে চেরি আর চায়না গাঁদা চাষ করেছেন তিনি। আর দুই বিঘা জমিতে গাজরা (কাঠবেলি) চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুল চাষে খরচ বেশি হইছে। দাম না থাহায় ৬০ হাজার টেহা (টাকা) লোকসান অইবো। ১২ বছর ধইরা ফুল চাষ করতাছি, এমন অবস্থা কোনো সময় অয় নাই।
নজরুল ইসলাম নজু মিয়া নামের এক চাষির অভিযোগ, স্থানীয় কৃষি অফিস সহযোগিতা করলে ভালো করতে পারতাম। আরো নানা জাতের ফুল চাষ করা যেত। কৃষি অফিসাররা কখনো এলাকায় আসেননি। এ ছাড়া সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে ফুল চাষিদের ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করলেও চাষিরা লাভবান হতেন।
ফুল চাষি আলিম জানান, এ বছর নিজের জমি, লিজসহ ১৫ বিঘা জমিতে ৯টি ফুলের বাগান করেছেন তিনি। কাঠবেলি ১০ বিঘা, চেরি দুই বিঘা, গাঁদা দুই বিঘা ও আলমেন্দা ফুলের চাষ করেছেন দুই বিঘা জমিতে। এ বছর ফুল চাষে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে তাঁর। প্রতিবছর আট থেকে দশ লাখ টাকা লাভ হলেও এবার তিনি চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছেন।
আলিম জানান, ৪০ জন নারী শ্রমিক তাঁর বাগানে প্রতিদিন ফুলের মালা তৈরি করেন। প্রত্যেক শ্রমিক ১০০ মালার মজুরি পান ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। প্রতিদিন একজন শ্রমিক ৩০০ থেকে ৪০০ মালা তৈরি করতে পারেন। এ ছাড়া তিনি নিজের বাগানেই ফুলের চারা উৎপাদন করেন। বীজও সংরক্ষণ করেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেহা নুর বলেন, ‘ফুল চাষিরা পরামর্শ চাইলে অব্যশই পরামর্শ দিয়ে থাকি।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফয়সাল হক জানান, ফুল চাষিদের পর্যাপ্ত আধুনিক প্রশিক্ষণ, ফুলের সংরক্ষণ, পরিবহন, প্যাকেজিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, তাঁদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানসহ যথাযথ সহযোগিতা করা গেলে চাষিরা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।