প্রকাশিত হয়েছেঃ জুলাই ১৬, ২০২১ সময়ঃ ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ
দিগন্তবার্তা ডেক্স, ১৬ জুলাই:
চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকাটি হেরিটেজ ঘোষনা করা হয়েছে অনেক আগে। এখানে শতবর্ষী গাছগুলো হলো ভ্রমনরত মানুষের প্রাণ। প্রতিদিন শতশত মানুষ এজায়গাই ঘুরতে আসে। প্রতিদিন সকাল হলেই বোঝা যায় এরকম একটা জায়গার খুব দরকার প্রতিটি জেলায়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবি এলাকায় হওয়াতে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে এ পুরো এলাকাকে। চট্টগ্রাম সিটি এলাকার মধ্যে এ ধরনের আর কোন জায়গা নেই যেখানে মন খুলে স্বাধীন ভাবে একটু হাটাচলা করতে পারবে।
এখন কথা হলো চট্টগ্রামে কেন এতো হাসপাতাল। বর্তমানে অনেক বড় হাসপাতাল রয়েছে। এগুলো কে আরো দক্ষ চিকিৎসক দিয়ে পরিচালিত করলে চট্টগ্রামবাসী চিকিৎসা পাবে। তার জন্য কোন প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে কেন। কথাগুলো বলেছেন,
ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এগ্রো গ্রুপ এবং সিইও এমএম এগ্রো লিমিটেড, ঢাকা।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের খুলশী ফয়েসলেক এলাকায় ইমপেরিয়াল হাসপাতাল পুরো চট্টগ্রাম বিভাগের বড় হাসপাতাল। এমনকি রাজধানীর হাসপাতাল গুলোতেও এত বড় জায়গা নেই। সুন্দর পরিবেশের এ হাসপাতাল থাকতে আর কোন হাসপাতাল চট্টগ্রামে লাগবে বলে আমার মনে হয় না।
সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল হলে সুবিধা পাবে রেলওয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সেখানে সাধারণ মানুষের কোন বাড়তি সুবিধা থাকবেনা। একশ্রেণীর কিছু মানুষের উপকারের জন্য সকল মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করে হাসপাতাল নির্মাণ করলে সার্বিক কোন কাজে আসবেনা।
তাছাড়া চট্টগ্রামে যদি আরেকটি বড় হাসপাতাল করতেই হয় তাহলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি অকেজো প্রকল্প রয়েছে শাহ আমানত সেতু এলাকায় যা কর্ণফুলী এলাকায় অবস্হিত। এ প্রকল্পটি বিমানবন্দরের সাথে সাঙ্গর্ষিক হওয়াই এখানে কোন উচু বিল্ডিং করা যাবেনা বলে গত বেশ কয়েক বছর অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দ্বিতল ভবনের করার মাধ্যমে এজায়গাটাতে হাসপাতাল বা কলেজ নির্মানের অনুমতি দিতে পারে সরকার। তাছাড়া কর্ণফলী সিডিএর এ প্রকল্পে হাসপাতাল নির্মাণ হলে রোগীরা প্রাকৃতিক পরিবেশে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
প্রাকৃতিক হাওয়া নিয়ে ঘুরে বেড়ানো আর কৃত্রিম অক্সিজেন নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। সিআরবি এলাকায় ঘোরাফেরা করা মানুষ গুলো এমনিতে সুস্থ থাকে কারন ওখানে রয়েছে প্রাকৃতিক অক্সিজেন যা কোটি টাকা বা শতশত হাসপাতাল নির্মাণ করে পাওয়া যাবেনা। তাই চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় নিঃশ্বাষ বন্ধ হাসপাতাল নির্মাণ স্থায়িভাবে বন্ধ ঘোষনা করতে হবে।