প্রকাশিত হয়েছেঃ জুলাই ৩, ২০২১ সময়ঃ ৪:১২ অপরাহ্ণ
গফরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার পাঁচভাগ ইউনিয়নের খুরশিদ মহল গ্রামে ব্রক্ষপুত্র নদের কৃষকের জমির চর থেকে অবৈধ্য ভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে পাচঁভাগ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দু”গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ঘ গুলাগুলি হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘঘে ঘটনায় এতে উভয় পক্ষের ১০/১২ জন আহত হয়। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, কিশোরগঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, গফরগাঁও উপজেলা পাগলা থানার পাচঁভাগ ইউনিয়নের খুরশিদ মহল গ্রামে ব্রক্ষপুত্র নদের চর থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রয করাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দু;গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার (২জুলাই) বিকাল পৌনে ছয়টার দিকে খুরশিদ মহল ব্রীজের নিচে কঠোর লকডাউনকে উপেক্ষা করে প্রায় শতাধিক লোকের উপস্থিতে বিরোধ মীমাংসার জন্য শালিস বৈঠক বসে। শালিস বৈঠকে পাচভাগ ইউপি সদস্য কৃষক লীগ নেতা হযরত আলী,গফরগাঁও উপজেলা কৃষকলীগ নেতা মজনু মিয়া,পাচঁবাগ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাবেক ইউপি সদস্য আরিফুজ্জামান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান জিহাদ ও স্থানীয় লোকদের নিয়ে করোনা ঠেকাতে এই লকডাউনের মধ্যে শালিস দরবার বসে। শালিস দরবারে ব্রক্ষপুত্র নদের চরের বালু উত্তোলন কে কত টাকার বালু উত্তোলন করেছেন জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে একে অপরের দোষ নিয়ে কথা বলাবলি পরে কথা কাটাকাটি শুরু হলে মুহুতেই ভয়াবহ সংঘর্ঘের রুপ নেয়। এ সময় শালিস বৈঠক ও আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মজনু, আক্তার, সুমন, তানিমের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হযরত আলী মেম্বারের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী(৫৫)কে দা দিয়ে বাম হাত পরে ডান পা ভেঙ্গে ফেলে। পরে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ঘে জড়িয়ে পড়লে নুরুল আমিন, পিয়াস, খোকন মিয়া,উজ্জল মিয়া, শিপন মিয়া, রুবেল মিয়া, ভুটু মিয়া, আজিজুল হক, তোফাজ্জল হোসেনসহ গুরুতর আহত হয়। এ নিয়ে গতকাল শনিবার পর্যন্ত খুরশিদ মহল এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানায়, ব্রক্ষপুত্র নদের বালু উত্তোলন বিরোধ দীঘদিন ধরে। কিন্তু করোনা লকডাউনের মধ্যে শতাধিক লোক জড়ো হওয়া পাগলা থানার পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ি করেন। খুরশিদ মহল গ্রামের আব্বাস আলী জানায়, বালু উত্তোলন ও চর দখল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু”পক্ষের মধ্যে সংঘর্ঘ হয়েছে। এতে অনেক গুলি লোক আহত হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলীর অবস্থা গুরুতর। পাচঁভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলামের সাথে এ প্রতিনিধি মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে, লকডাইনের মধ্যে মারামারি ঘটনায় তিনি জানে না। পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুজ্জামান বলেন, সংঘর্ঘের ঘটনায় হযরত আলী বাদী হয়ে ১০জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।