সারাদেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাতদিনের জন্য সারা দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে ময়মনসিংহ জেলাজুড়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সেই সাথে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশের সমন্বয়ে চলছে অভিযান। বৃহস্পতিবারব (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে এই লকডাউন চলবে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত।

ময়মনসিংহে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ এনামুল হক লক ডাউনের বাস্তব চিত্র পরিদর্শন করেন। তিনি শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার টিমের সাথে কথা বলেন এবং দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

এ সময় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোহাঃ আহমার উজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক, জেলা গোয়েন্দা শাখা অফিসার ইনচার্জ (ডিবি)র ওসি মোঃ শাহ কামাল আকন্দসহ ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের চিত্র দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে, চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। সড়কে থামিয়ে কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন- এমন নানা প্রশ্নের পর যৌক্তিক জবাব দিতে পারলেই সাধারণ মানুষকে গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে। না হয় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সবাইকে। রাস্তায় গণপরিবহন চলছে না।

বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ নগরীতে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলাগুলোতে ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও উপজেলাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি), এছাড়া সিটি করপোরেশনে ম্যাজিস্ট্রেটরাও অভিযান পরিচালনা করেন।

এছাড়াও শহরের টাউনহল মোড়, গাঙ্গিনারপার, স্টেশন রোড, ব্রীজ মোড়, চরপাড়া, মাসকান্দা, বাইপাস, মোড়ে মোড়ে সেনাবাহিনী, র‍্যাব বিশেষ টহল দিচ্ছে, কারণ ছাড়া বের হলে জরিমানা আদায় করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আয়েশা হক বলেন, লকডাউনের প্রথম দিনে দুপুর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২১০ মামলায় ১৬২৬৯০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবেও তিনি জানান।