বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ মে ১৬, ২০২২ সময়ঃ ১:৪৯ অপরাহ্ণ

আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ), ১৬ মে।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধিন কার্পেটিং কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বালির পরিমান কম দিয়ে এমনকি পানি ব্যবহার না করেই নিন্মমানের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ইতোমধ্যে মেয়াদকাল শেষ হলেও ৪০ ভাগ কাজ শেষ করে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ি-উথুরা সড়কে পাঁচগাও আবে ফকিরের মোড় থেকে উথুরা পাকা রাস্তা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কে কার্পেটিং কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। চার কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই রাস্তাটি করার দায়িত্ব পান সালমান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গেলো বছরের ২৫ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রæয়ারীর মধ্যে কাজটি শেষ করা কথা। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিন্মমনের খোয়া ও বালির পরিমাণ কম দিয়ে উক্ত মেয়াদের মধ্যে ৪০ ভাগ কাজ করেছেন। পরে মেয়াদকাল বৃদ্ধির জন্য উপজেলা প্রকৌশল অফিসে আবেদন করে দীর্ঘদিন ধরে কাজটি ফেলে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
ওই রাস্তায় চলাচলকারী স্থানীয় লোকজন জানান, রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের দীর্ঘদিনের দাবি পাকাকরণের জন্য। কিন্তু রাস্তার কাজ শুরু হলেও ঠিকাদার কাজের প্রথম থেকেই নিন্মমানের খোয়া ব্যবহার করছেন। এমনকি যে পরিমাণ বালি ব্যবহার করার কথা ছিলো, তার অর্ধেকও দেয়া হয়নি। কোন কোন স্থানে দেড় থেকে দুই ইঞ্চি বালি দিয়ে ইটের নিন্মমানের খোয়া দেয়া হয়েছে। পানি ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলেও এক ফুটা পানি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে রাস্তাটি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দেবে গিয়ে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগকারীরা বলেন, কাজ করার সময় ঠিকাদার নিজে উপস্থিত না থেকে লোক দিয়ে যেনতেন ভাবে কাজ করেছেন। তাছাড়া উপজেলা প্রকৌশল অফিসের লোকও তেমন উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সালমান এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী সোহরাব হোসেনের মোবাইল নম্বরে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি কাজটি শেষ করে ফেলেছেন বলে ফোনটি কেটে দেন।
উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো: রফিকুল ইসলাম অনিয়মের কথা অস্বাীকার করে বলেন, নির্মানাধিন ওই রাস্তাটির ৪০ ভাগ কাজ শেষ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১২ ফিট (৩.৭ মিটারা) রাস্তাটি নির্মাণে মাটির কাজ শেষে ৬ ইঞ্চি বালি দেয়ার পানি দিয়ে রুলার দিয়ে ফিনিংশিং করে ৬ ইঞ্চি ইটের খোয়া দেয়ার নিয়ম রয়েছে এবং সার্বিক কাজ শেষে ১ ইঞ্চি কার্পেটিংয়ের কাজ করা হবে। কিন্তু নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠাণের পক্ষ থেকে সময় বাড়ানো জন্য আবেদন করা হয়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com