বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ জুন ২৬, ২০২১ সময়ঃ ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

মো:জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার পলাশকান্দা গ্রামের চাঞ্চল্যকর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী কলেজছাত্র ইকবাল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আসামী গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পুলিশ সুপার,  ময়মনসিংহ জনাব মোহাঃ আহমার  উজ্জামান, পিপিএম-সেবা মহোদয়ের  নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) নিরবিচ্ছিন্ন তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ শুক্রবার আসামী আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামী আব্দুল হালিম বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ঘটনায় জড়িত আরো ২ জন আসামীকে ইতিপূর্বেই গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
জবানবন্দির বরাতে পুলিশ জানায়, প্রতিবেশীর এক টুকরো জমি কিনা নিয়ে ইকবালের বড়ভাইয়ের সাথে বিরোধ এবং প্রতিবেশী গুলু মিয়ার মেয়েকে নিয়ে মন্তব্য করায় খুন হয় ইকবাল।
জানা গেছে,আবদুল হেলিমের ভগ্নিপতির ভাই গোলাম হোসেন গুলুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল ইকবালের। ইকবালের ভাই সেলিম মিয়া প্রতিবেশী গোলাম হোসেনের কাছ থেকে এক খণ্ড জমি কেনা নিয়ে বিরোধ ছিল। এই বিরোধ থাকায় গোলাম হোসেনের অপর ভাই মোহাম্মদ আলীর মেয়েকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করতো ইকবাল।
গত ২৫ মে হেলিমকে ডেকে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানায় মোহাম্মদ আলী। হেলিম নিষেধ করলেও মোহাম্মদ আলী, তার ছেলে বাবু মিয়া, গোলাম হোসেন গুলু ও তার ছেলে রানা মিয়া ইকবালকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
তারপর হত্যাকাণ্ড শেষে আব্দুল হেলিমকে ডাকা হলে ইকবালের লাশ ঘুম করতে সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছে এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল হেলিম।
উল্লেখ্য গত ৩১ মে নিখোঁজ হয়েছিলেন রুমডো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ইকবাল। পরে ৫ জুন বাড়ির অদূরে হাউজি প্রজেক্টের (জুয়া খেলার) পরিত্যক্ত সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় লাশ। ইকবালের ভাই সেলিম এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে তারাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গোলাম হোসেন ও তার ছেলে রানাকে আটক করে কারাগারে পাঠায়।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com