প্রকাশিত হয়েছেঃ এপ্রিল ২১, ২০২২ সময়ঃ ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
মোঃ জাকির হোসেন, তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি, ২১ এপ্রিল।।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ৮ নম্বর কামারিয়া ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুর এলাকায় খাল খননে বাঁধার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
২০ এপ্রিল বুধবার তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে কৃষ্ণপুর এলাকার ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, তারাকান্দা উপজেলার গোপালপুর, পলাশকান্দা এবং ময়মনসিংহ সদর উপজেলা হরিপুর, আলালপুর ও বাজিতপুর এলাকার পানি বর্ষাকালে চর কৃষ্ণপুর বিলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কয়েক বছর ধরে এ চর কৃষ্ণপুর বিলের উপর অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য চাষের ফিশারি গড়ে ওঠার কারণে পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চর কৃষ্ণপুর বিলে আবাদি ৫০০ একর ভূমি বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার কারণে ধান চাষ ব্যাহত হয়।
ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রকল্পের সহায়তায় এ এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা নিজের জমি এবং সরকারি খাস খতিয়ান জমির উপর খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কামারিয়া ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুর এলাকার জনৈক শাজাহান মন্ডল এর বাড়ী হতে চরকৃষ্ণপুর গ্রামের শেষ প্রান্ত মোজাহারদি পর্যন্ত গ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সরকারি অর্থায়নে এক মাস পূর্বে দেড় কিলোমিটার একটি খাল খনন শুরু করে।
গত ২৩ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া সরকার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম এবং উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা খালের খনন কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয় ভুক্তভোগী চাষিরা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন
বর্তমানে খালটি খনন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সম্প্রতি কৃষ্ণপুর এলাকার মোঃ মাহবুবুল আলম বুলবুল, মোজাহারদি এলাকার মোঃ সুরুজ আলী, আবুল হাশেম ও আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে খাল খনন কাজের বাধার অভিযোগ উঠেছে। তাদের এ বাধার কারণে প্রায় ২০০ ফুট খাল খনন কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন তারা যে জায়গায় খাল খননে বাধা প্রদান করছে সেটি খাস খতিয়ানভুক্ত ভূমি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুরুজ আলী জানান, কৃষ্ণপুর থেকে সরকারি খালের দূরত্ব ৫ শত ফুট হয় । সেখানে খাল সংযোগ না করে দিয়ে মোজাহারদি এলাকা দিয়ে খাল নিলে এ এলাকায় জলাবদ্ধতা হবে। তাই আমি একা নয়, আমার মত আরো ২০ জন কৃষক এ খাল খননে বাধা দেয়।
মাহবুব আলম বুলবুলের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান তিনি খাল খননে বাধা দেননি, তিনি নিজে আরো জমি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তবে তিনি শুনেছেন চারদিন ধরে নাকি খাল খননের বেকু বন্ধ রয়েছে ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মিজাবে রহমত জানান, তিনি এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ গতকাল পেয়েছেন । শুনেছি যেখানে বাধা দেয়া হয়েছে সে জায়গা নাকি খাস খতিয়ানভুক্ত। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য নায়েব কে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই খালটির খনন কাজ করতে না পারলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কারণ হয়ে দাঁড়াবে এবং সরকারি অর্থের অপচয় হইবে এবং চর কৃষ্ণপুর এলাকার ৫ শত একর ভূমি ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং জলাবদ্ধতার কারণে এই এলাকার জনজীবন ব্যাহত হবে।