বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ এপ্রিল ১৬, ২০২২ সময়ঃ ৪:৪৭ অপরাহ্ণ

আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ),১৬ এপ্রিল।।
ময়মনসিংহের শিল্পাঞ্চল ভালুকা এখন নিষিদ্ধ যানবাহনের শহরে পরিনত হয়েছে। তাছাড়া মহাসড়ক জুড়ে পুলিশের নাকের ঢাগায় দাপিয়ে চলছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইক এবং শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন-করিমন। উচ্চ আদালতের রায় ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ কিছুই মানা হচ্ছেনা। এতে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানযটে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে পথচারী ও নিষিদ্ধ যানবাহন চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়কে নছিমন করিমন নামে অটোরিকশাসহ তিন চাকার সব ধরনের যানবাহন চলাচল হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হলেও ময়মনসিংহের ভালুকায় এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছেনা। ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের রহস্যজনক নিরবতার কারণে তাদের নাকের ঢগায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ভ্যান ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রতিদিন দাপটের সাথেই চলছে। এতে যানযটের সৃষ্টি হয়ে পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এমনকি প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, সিডষ্টোর বাসস্ট্যান্ড ও মাষ্টারবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে সব সময় যানযট লেগেই থাকে। পুলিশের সামনেই এসব তিন চাকার যান চলছে এবং দীর্ঘক্ষণ বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে। আর তাই যানবাহন ও পথচারীদের পথ চলতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভালুকায় প্রায় দুই হাজারের বেশি নিষিদ্ধ যানবহন মহাসড়কে চলাচল করছে। তাছাড়া ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার ব্যাটারী চার্জ দিতে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারও বেড়ে গেছে। যার ফলে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগের কারণে সরকার রাজস্ব হারানাসহ সংযোগ থেকে অগ্নিকান্ডের মতো ঘটনাও ঘটছে।
পথচারী সাখাওয়াত হোসেন জানান, তিনি মাষ্টারবাড়ি একটি কোম্পানীতে চাকরী করেন, সন্ধ্যায় যখন বাসায় ফেরার জন্য মহাসড়কে আসেন, তখন প্রায় ঘন্টাখানেক দাঁিড়য়ে থাকতে হয় এসব ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার যটলার কারণে। হারুন অর রশিদ নামে অপর এক পথচারী জানান, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড মহাসড়ক থেকে পাঁচরাস্তাা ও গফরগাঁও সড়কে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত যানযট লেগেই থাকে এসব অবৈধ ও নিষিদ্ধ যানবাহনের কারণে।
ব্যাটারিচালিত এক মিশো চালক নাম প্রকাশ না করার সর্তে জানান, তার বাড়ি পাশের ত্রিশাল উপজেলায়। ভালুকায় পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়ায় থেকে মুচি ভিটার হামিদ মহাজনের কাছ থেকে ৪৫০ টাকায় ব্যাটারীচালিত মিশো ভাড়ায় নিয়ে মহাসড়কসহ পৌরএলাকায় যাত্রী আনা নেয়া করে থাকেন। পুলিশ ধরেনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পুলিশের সাথে মহাজনের চুক্তি রয়েছে, তাই পুলিশ ধরেনা। আর যদি ধরেও, তাহলে মিশো ফেলে গিয়ে মহাজনকে জানালে, তিনি তা ছাড়িয়ে আনেন। একটি সুত্রে জানা যায়, এসব নিষিদ্ধ যানবাহন থেকে হাইওয়ে পুলিশকে প্রতিদিন ৪০ টাকা করে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে তারা নির্বিগ্নে মহাসড়কে চলাচল করে আসছে।
ভালুকার ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলী হোসেন জানান, মহাসড়কে ব্যাটারীচালিত এসব অবৈধ ও নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলে হাইওয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিনই এসব যানবাহন আটক করে আইনের আওতায় নেয়া হচ্ছে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com