বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ এপ্রিল ১, ২০২২ সময়ঃ ১২:২৯ অপরাহ্ণ

আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ),১ এপ্রিল।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা সানি ব্রিডার্স ও হ্যাচারীর বর্জ্য ও দূর্গন্ধে একটি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ ৪০ টি পরিবার চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া উঠতি বোরো ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী পরিবারগুলো প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরেজমিন এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার ধামশুর গ্রামে অবস্থিত হিংরা বিলটি মাটি ভরাট করে সানি ব্রিডার্স এন্ড হ্যাচারী লিমিটেড কর্তৃপক্ষ গত তিন বছর আগে ৫ তলা ভবন নির্মাণ করে তাতে মুরগীর ডিম উৎপাদন প্রতিষ্ঠান (ব্রিডার্স) গড়ে তুলেন। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিন মুরগী থেকে গড়ে ১৪ থেকে ১৫ হাজার ডিম উৎপাদন হয়ে থাকে। ৫ তলা ভবনের প্রতিটিতে ১১ টি করে ৫৫ টি বিশাল আকৃতির বৈদ্যুতিক পাখা রয়েছে, যা দিয়ে ভেতরের দুগর্ন্ধযুক্ত বাতাস মুরগীর ছেড়া পালক (ডাস্ট) তীব্র গতিতে বাহিরে বের হয়ে আসে। পাশাপাশি খামারের বর্জ্যও পাশের বোরো ধানী জমিতে পরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরছেন স্থানীয় কৃষকরা।
স্থানীয়রা জানান, খামারের পশ্চিম উত্তর পাশ ঘেষে একটি দাখিল মাদরাসার প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ প্রায় ৪০ টি পরিবার রয়েছে। খামারের দুর্গন্ধে এলাকায় বাস করা বর্তমানে দায় হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি খামার থেকে ভেসে আসা তুলার মতো ডাস্ট (মুরগীর ছেড়া পালক) বাসা বাড়ির ভেতরে ডুকে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টির পাশাপাশি নাকে মুখে ডুকে চরম সার্বক্ষনিক অস্বস্থিতে পরতে হচ্ছে।
স্থানীয় জমির মালিক শাহজাহান খান জানান, খামারের পাশে তার ১৭ কাঠা বোরো জমি রয়েছে। খামারের বর্জ্য ও বিষাক্ত বাতাসে উঠতি ধান গাছগুলো পুড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই জমিতে আগে ৭০ থেকে ৮০ মন ধান উৎপাদন হতো, খামারটি গড়ে উঠার পর থেকে চিটা হয়ে অর্ধেক ধানও উৎপাদন হয়না। তেমনি খামারের পাশে খোরশেদ আলমের ১৭ কাঠা, আহম্মদ আলীর ২৩ কাঠা, আব্দুর রবের ৩ কাঠা, হাবিবুর রহমানের ৩ কাঠা ও খোকা মিয়ার আড়াই কাঠা বোরো জমির একই অবস্থা বলে জমির মালিকগন জানান।
ধামশুর দাখিল মাদরাসার সুপার নিজাম উদ্দিন জানান, তার মাদরাসায় প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রয়েছেন। সানি ব্রিডার্সের দুর্গন্ধে ও ভেসে আসা মুরগীর পালকের কারণে চরম দুর্ভোগর মধ্যদিয়ে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিনা করতে হচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসির পক্ষে স্থানীয় কৃষক আহম্মদ আলী বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সানি পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারীর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আইনুল ইসলাম রাচ্চু জানান, বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে খামারীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com