প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ২২, ২০২২ সময়ঃ ৯:২০ পূর্বাহ্ণ
এম এস মনির চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।।
গতকাল সোমবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতাদের সঙ্গে স্কাইপের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব নির্দেশ দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন নেতা সিভয়েসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে কোতোয়ালী, বাকলিয়া ও চকবাজার থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নগর বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক এম এ আজিজকে, সদরঘাট ও ডবলমুরিং থানায় কাজী বেলালকে, পাহাড়তলী, হালিশহর ও খুলশী থানায় এস এম সাইফুল আলমকে, বায়েজিদ বোস্তামী ও চান্দগাঁওয়ে নাজিমুর রহমানকে, ইপিজেড, বন্দর ও পতেঙ্গা থানায় নগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শাহাদাত-বক্করের ‘ডানা কাটছেন’ তারেক রহমান
অন্যদিকে ব্যারিস্টার আহমেদ আজমকে প্রধান করে নগর বিএনপির ‘দেখভালের কমিটি’তে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জালাল উদ্দিন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করকে।
এরআগে শাহাদাত-বক্করের কমিটিতে গতি আনতে বারবার ব্যর্থ হয়ে বাধ্য হয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব লন্ডন থেকে তিনটি পৃথক গোপন সাংগঠনিক প্রতিবেদন সংগ্রহ করেন। সবকটিতেই শাহাদাত-বক্কর কমিটির ‘ব্যর্থতা’ তুলে ধরা হয়েছে। মূলত থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়েছেন বলে এসব প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। ফলে হঠাৎ করেই স্কাইপে বৈঠকের সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। আহ্বায়ক কমিটির অনেক নেতাই এতে আমন্ত্রণ পায়নি, আবার আহ্বায়ক কমিটির বাইরে থেকে বিএনপি ছেড়ে যাওয়া নেতাসহ ১২ জনকে ডাকা হয় ওই সভায়। এনিয়ে শুরু হয় অস্থিরতা, নানা জল্পনা-কল্পনা।
রহস্যঘেরা ভার্চুয়াল এই বৈঠক নিয়ে স্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলও শাহাদাত-বক্করকে শীর্ষ দায়িত্বে রেখে বেড়ি বাঁধার সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছিল অনুসন্ধানে। সেই অনুসন্ধানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ৫ থেকে ৬ জনের একটি সাংগঠনিক টিম করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি তাদের থানাভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়টি উঠে আসে। এছাড়া আরও উঠে আসে, মূলত তারাই চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিকে একেবারে তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজানোর কাজটা শুরু করবেন। প্রথমে ওয়ার্ড তারপর থানা বিএনপির কমিটি গঠন করবেন। বর্তমান আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত, সদস্য সচিব বক্কর শুধুমাত্র ওই সাংগঠনিক টিমের দেওয়া তালিকাতেই স্বাক্ষর করবেন। এরপর তারেক রহমানের নির্দেশে নগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটি থেকে বাদ পড়বেন বর্তমান শীর্ষ দুই নেতা।