বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ১৭, ২০২২ সময়ঃ ৫:৩৭ অপরাহ্ণ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান বিভাগ কর্তৃক অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি) প্রকল্পের রাস্তার মাটির কাজে অনিয়ম চলমান । এই প্রকল্পের আওতায় এলাকার অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সঠিক ভাবে হচ্ছে না বাস্তবায়ন । কালাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের  দক্ষিন কালাপুর হাইল হাওরের রাস্তার হাবিব মিয়ার বাড়ির সম্মুখে হতে বালুচরের পুল পর্যন্ত রাস্তার মাটি কাটার সংস্কার কাজ আসলে এলাকার অতি দরিদ্র ৫৭ জন শ্রমিক দ্বারা কাজ পরিচালনা করার নিয়ম থাকলেও শ্রমিকদের বাদ দিয়ে তা হচ্ছে  এক্সেবেটার মাটি কাটার যন্ত্র ব্যবহার করে মাটি খননের কাজ।  প্রতি উপকার ভোগীর দৈনিক ৪শত টাকা মুজুরি নির্ধারন করার নিয়ম রয়েছে। যা কাজ শেষে রকেট একাউন্টের মাধ্যমে শ্রমিকদের মোবাইলে দেওয়ার হবে বলে জানা যায়। খাতায়পত্রে দেখানো হয়েছে এই সব একাউন্ট কিন্তু শ্রমিক ছাড়াই হচ্ছে মাটি খননের কাজ। গত (১১/মার্চ/২০২২ ইং) থেকে দিনরাত এক্সেবেটার নামক এই মাটি কাটার যন্ত্রের  দ্বারা খনন হচ্ছে হাইল হাওরের রাস্তার কাজ। পঞ্চম দিনে শেষ প্রায় অর্ধেক রাস্তার কাজ। ৪০ দিনের এই অতি দরিদ্রদের দিয়ে করানো কাজ ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য একক ভাবে করে নিচ্ছেন তার নিজ উদ্যোগে। এতে একদিকে পন্ড হচ্ছে জননেত্রীর প্রধান মন্ত্রীর মহৎ উদ্যোগটি,অন্যদিকে বঞ্চিত হচ্ছেন কর্মসংস্থান থেকে এলাকার অতিদরিদ্র লোক। প্রকল্পেটির আওতায় উক্ত রাস্তার কাজে বরাদ্দের পরিমান রয়েছে  ৯ লাখ ১২ হাজার টাকা। কিন্তু এক্সেবেটার নামক  মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে করানো হলে ব্যয় হবে আনুমানিক দেড় থেকে ২ লাখ পর্যন্ত বাকী টাকাগুলো হরণ করা হবে  পকেট ভারি করবেন ইউপি সদস্য নিজে। এব্যাপারে জানতে চাইলে  ৫নং কালাপুর ইউপির চেয়ারম্যান এম,এ,মতলিব বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এক্সেবেটার দিয়ে মাটি কাটার নিয়ম নেই । আমি আজ একবার সরেজমিনে যাবো। এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের সাথে কথা হয় তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি সরকারের অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের এই উদ্যোগ। শ্রমিকরা কাজে মাধ্যমে রকেটে পাবে উক্ত মুজুরির টাকা।

এক্সেবেটার দিয়ে করানো হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলে,এক্সেবেটার দিয়ে কাজ করলে আমরা বিল দেবো না, কালাপুর হাইল হাওরের রাস্তার বিল এখনো ঢাকা থেকে আসে নাই । আমি ইঞ্জিনিয়ার পাঠাবো খুজ নিচ্ছি । এব্যাপারে, জেলা ত্রান ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাদু মিয়া বলেন, আমি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলেছি বিষয়টি দেখার জন্য এমন কর্মকান্ড হলে আমরা দেখবো। আপনাদের ভিডিও ফুটেজগুলো দেখেছি। ১৬ মার্চ  এক্সেবেটার চলে গেলে কাজ বন্ধ অবস্থায় আছে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিল দেওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন। এব্যাপারে গত ১৩ মার্চ জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানকে অবগত করলে তিনি জানন, আমি সিলেটে একটি মিটিংয়ে আসছি শ্রীমঙ্গলের ইউএনও কে বলে দিবো বিষয়টি দেখার জন্য বলে জানান তিনি। এমন অভিযোগের হওয়ার পরও রাতে আদারে করে ছিলেন এক্সেবেটার যন্ত্রের সাহায্যে রাস্তার কাজ। পরিদর্শনে কোন কর্মকর্তা আসার কথা শুনলে পাশ্ববর্তী চা বাগানের ১২- ১৪ জন মহিলা শ্রমিককে ডেকে নিয়ে কাজে লাগান। কিন্তু এই মহিলা শ্রমিকদের নামীয় নাই কোন মোবাইল রকেট একাউন্ট।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com