প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ১৭, ২০২২ সময়ঃ ৩:৫৭ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বঙ্গবন্ধু কৈশোর থেকেই অধিকার সচেতন মানুষ ছিলেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে উনি সমগ্র বিশ্বের শোষিত ও মেহনতি মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় দূরদর্শিতা ছিল বিশ্বের সমসাময়িক রাষ্ট্রনেতাদের চেয়েও অনেক এগিয়ে। তাঁরই আদর্শে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি উন্নত-সম্মৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে অবস্থান করে নিয়েছে।” তিনি আজ ১৭ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) ২০২২ খ্রি. সকাল ৯.২০ টায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে চুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শের উপর এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।
এর আগে সকাল ৯.০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর ভাইস চ্যান্সেলর কার্যালয়ের সামনে থেকে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্ত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চুয়েট পরিবার। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার ও মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- চুয়েটের ছাত্রছাত্রী ও ক্যাম্পাসের শিশুকিশোরদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিশেষ দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ ইত্যাদি।