প্রকাশিত হয়েছেঃ জুন ১৬, ২০২১ সময়ঃ ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
আসাদুজ্জামান ফজলু, দিগন্তবার্তা ডেক্স, ১৬ জুন:-
স্টাফ রিপোটার্র, দিগন্তবাতার্, ১৬ জুন:- ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাঠালী গ্রামে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্বপাশে অবস্থিত ওসমান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নাসেল স্পিনিং মিল ও পিএনআর ডায়িং ফ্যাক্টরীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। ইটিপি বন্ধ রেখে উৎপাদন কার্যক্রম, শিশুশ্রম, শ্রমিকের কম বেতন দেয়া ও করোনাকালিন সময় ছাড়াও সুতার কারখানায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার না করে তাদের স্বস্থ্যঝুঁকিতে কাজ করানোসহ শিল্পআইনের তোয়াক্কা না করে উৎপাদন কার্যক্রম চালানো। সরেজমিন ফ্যাক্টরী ঘূরে স্থানীয় লোকজন ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভালুকায় ওসমান গ্রুপের বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, উপজেলার কাঠালী এলাকায় মহসড়কের দুই পাশে রয়েছে স্পিনিং, সুয়েটার ও ডায়িং ফ্যাক্টলী। আর এসব প্রতিষ্ঠানে শিল্পআইনের তোয়াক্কা না করে শিশু শ্রমিক দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোনরুপ ব্যবস্থা ছাড়াই স্বল্প শ্রমের বিনিময়ে শ্রমিক নিয়োগ দিয়েই বিভিন্ন পন্য উৎপাদন করে চলেছেন। রাসেল স্পিনিং মিলের ভেতর গিয়ে দেখা যায়, কোন শ্রমিকের মুখে মাস্ক নেই, সুতা ও তুলা তাদের নাক-মুখ একাকর হয়ে আছে। তাছাড়া ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সের শ্রমিক কাজ করছে। ১৫ বছর বয়সের এক শ্রমিককে তার বেতনের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, তাকে মাসে ৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে থাকে।
অভিযোগ রয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পিএনআর ডায়িং ফ্যাক্টরীতে কেমিক্যাল ইটিপি থাকলেও প্রতি ঘন্টায় ৫৫ হাজার টাকা এমনকি ২৪ ঘন্টায় ১৩ লক্ষাধিক টাকা খরচ হওয়ার কারণে উৎপাদনের সময় অসাধূ ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ প্রায় সময় তা বন্ধ রেখে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা খরচ বাঁচান। ফলে বিষাক্ত বর্জ্যপানি
সরাসরি খিরু নদীতে ফেলার কারনে নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে জীববৈচিত্রের চরম ক্ষতি করছে। গত ১৫ জুন দুপুরে ওই ফ্যাক্টরীতে গিয়ে ইটিপি পরিদর্শণের জন্য অনুরোধ করা হলে ফ্যাক্টরীর এজিএম নুরুল ইসলাম মিডিয়াকমর্ীদের বসিয়ে রেখে ইটিপি চালু করেন এবং বেশ কিছুক্ষণ পর পরিদর্শণ করতে নিয়ে যান।
রাসেল স্পিনিং মিলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) এমএম সাদরুজ্জামান জানান, তাদের ফ্যাক্টরীতে ৬ টি সেকশনে ৯৫০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তার মাঝে ৯০ ভাগ রয়েছে নারী শ্রমিক। সুপারিশের কারণে অনেক সময় কম বয়সের শ্রমিক নিয়োগ দিতে হয়। তিনি আরো বলেন, মাস্ক ব্যবহারের জন্য শ্রমিকদের বার বার বলা হলেও তারা তা ব্যবহার করছে না।
এ ব্যাপারে পিএনআর ডায়িং ফ্যাক্টরীর এজিএম নুরুল ইসলাম জানান, তাদের ইটিপি সার্বক্ষনিক চালু রেখেই উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।