প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ১৬, ২০২২ সময়ঃ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
এম এস মনির চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।।
যদিও পতেঙ্গা সৈকত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ইজারা দেওয়ার খবর চাউড় হতেই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে সিডিএ বলছে, চট্টগ্রামের এ দৃষ্টিনন্দন সৈকতটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ বিচ মেইনটেন্সে যে লোকবল ও অর্থ প্রয়োজন সেটা সিডিএর কাছে নেই। বিচের একটি অংশ ইজারা দিয়ে যার ‘দায় ভার’ দেওয়া হবে বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাতে।সিডিএ সূত্রে জানা গেছে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সায় মেলার পর প্রায় দুমাস আগে টেন্ডার আহ্বান করে সিডিএ। যার শেষ সময় আগামী ১৭ মার্চ। তিনমাসের মধ্যে কাজ শুরুর পর তা ২০২৪ সালের মধ্যে নতুন আঙ্গিকে পর্যটন অঞ্চল সাজানোর পরিকল্পনা করছে সিডিএ।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘টেন্ডারের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনার পর দু’তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরু করবো।’ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে এ সৈকত ইজারা দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা সমালোচনা করছেন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তারাই খুশি হবেন। কারণ ছোট একটি অংশ ইজারা দিয়ে পুরো বিচ দেখা শোনার দায়িত্ব দেওয়া হবে তাদের। পাশাপাশি সরকারের নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা আয় হবে। বহুগুণে বেড়ে যাবে বিচের সুযোগ সুবিধা ও সৌন্দর্য।’
বিশ্বমানের ট্যুরিস্ট জোন হবে পতেঙ্গা সৈকত
সিডিএ’র এ প্রকৌশলী জানান, পর্যটন জোন-১ নামের প্রথম ফেজে কাজ চলবে পতেঙ্গা অংশ থেকে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার জুড়ে। যার মধ্যে প্রায় কিলোমিটার অংশে থাকবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। তবে বাকি ৫ কিলোমিটার জুড়েই বিচের আলোকসজ্জাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা তাদের হবে।
কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘ছয় কিলোমিটারের প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকবে। সেগুলো সংরক্ষিত। বাকিটুকু সম্পূর্ণ উন্মুক্ত থাকবে। তবে পুরো বিচের ব্যবস্থাপনা তাদের করতে হবে। এখানে সিডিএ এক টাকাও খরচ করবে না।’
এছাড়া আকমল রোড সংলগ্ন যে অংশটি ‘জমি পুনরুদ্ধার’ প্রক্রিয়ায় পাওয়া গেছে। সেটা নিয়ে পর্যটন জোন-২ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিডিএ সংশ্লিষ্টরা।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ঘিরে দোকানপাট ও স্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে অবৈধ দোকানপাটের প্রশ্নই আসে না। আর এখন যে গুলো আছে, সেখানে শিগগিরিই উচ্ছেদ চালাবো আমরা। এর আগেও সেখানে বেশ কয়েকবার উচ্ছেদ চালানো হয়েছে।
সিডিএ’র স্টেট বিভাগ বলছে, ২০২০ সালের শুরু দিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ঘিরে বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল সিডিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সিডিএ। যদিও পরে সিডিএ’র ‘কার্ডধারী’ দোকানিদের উচ্ছেদের অভিযোগ তুলেছে দোকানিরা