প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ১৪, ২০২২ সময়ঃ ৭:৪১ অপরাহ্ণ

এম এস মনির, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।।

চট্টগ্রাম শহরের মধ্য দিয়ে একটি দুটি নয়, চারটি নদী প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু ক্রমাগত দখল ও দূষণের কারণে সেই সৌভাগ্য রীতিমতো দুর্ভাগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের নদীগুলোর বয়স দেশের অন্যান্য নদীগুলোর তুলনায় অনেক কম। অথচ কম বয়সেই এসব নদী তার যৌবন হারাতে বসেছে। আবার উচ্ছেদেও আছে বিপত্তি। নদীর পারের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই সময় সব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে তিন মাসের সময় বেঁধে দেয় উচ্চ আদালত। অথচ তিন মাসের জায়গায় সেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল তিন বছর পর ২০১৯ সালে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত নদীর পার পুরোপুরি অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করা যায়নি; উল্টো বেড়েছে দখলদারের সংখ্যা।
হাইকোর্টের রায় ও আদেশে কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে টানা পাঁচ দিনের উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কর্ণফুলীর তীরে আর উচ্ছেদ অভিযান চলেনি। এ সুযোগেই পুনরায় নদী দখল করে নিয়েছে দখলদাররা। নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন— নদীর উপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা সংস্থার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যার কারণে একপক্ষ আরেক পক্ষের উপর দায় চাপিয়ে চুপচাপ বসে থাকে। এছাড়াও নদী দখল ও দূষণকে অপরাধ বলে গণ্য করে, আর কোন সুনির্দিষ্ট আইনও নেই। যার কারণে এক সংস্থা অন্য সংস্থার উপর দায়িত্ব ও দোষ চাপিয়ে ভিন্নভাবে মূলত নদী দখলদারদের নদী দূষণ ও দখলে ‘সহযোগিতা’ করছে। নদী দখলদারদের চিহ্নিত করা গেলেও নদী রক্ষায় কর্তৃপক্ষের নেই যথাযথ পদক্ষেপ। নদী গবেষকদের দাবি— প্রভাবশালীদের কারণেই নদী রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই। তবে প্রশাসন বলছে, বাজেট বরাদ্ধের অভাবের কারণেই আটকে আছে কর্ণফুলী পারের উচ্ছেদ। এ যেন অনেকটা নদী নিয়ে কানামাছি খেলা।

আজ ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদী রক্ষা দিবস। আদালতের নির্দেশে আগে উচ্ছেদ অভিযানের কথা থাকলেও মাস্টার প্ল্যানে আছে কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি ও দূষণমুক্ত করতে কী কী কাজ করতে হবে সেটির সার্বিক নির্দেশনা। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ নিয়ে বাজেটের অভাব দেখিয়ে পার পেতে চায় কর্তৃপক্ষ। অথচ মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী, নদীর দূষণ ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে তার কোনো সদুত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। অন্যদিকে, দখল ও দূষণমুক্ত বলছে খোদ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন! তাদের ওয়েবসাইটে নদীর তথ্যে উল্লেখ করা আছে, ‘চট্টগ্রামের নদীগুলো দখল ও দূষণমুক্ত’। অথচ এসব নদীর বাস্তবতা পুরোটাই ভিন্ন। যদিও নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ভুল তথ্য বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।

দখল-দূষণে ছোট হয়ে আসছে কর্ণফুলী:

অবৈধ দখলে ছোট হয়ে গেছে কর্ণফুলী নদী। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদী, হারাচ্ছে নাব্যতা। কর্ণফুলী রক্ষায় ২০১০ সালে রিট করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। রিটের পর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালে জেলা প্রশাসন কর্ণফুলী নদীর তীরের ২১৮১ জন অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে জরিপ করে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। বছরকে বছর কেটে যায় আর ছোট হয়ে আসছে নদী। কিন্তু কর্ণফুলী রক্ষায় কোনো পদক্ষেপেই সুফল আনতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

২০১৪ সালে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে পরিচালনায় ‘মাস্টার প্ল্যান ফর চিটাগং পোর্ট’শীর্ষক জরিপ হয়। জরিপে দেখানো হয়, চাক্তাই খালের মুখে কর্ণফুলী নদীর প্রবহমান ধারা ছিল ৯৩৮ মিটার। রাজাখালী খালের মোহনায় তা ছিল ৮৯৪ মিটার। শাহ আমানত সেতুর নিচে ছিল ৮৬৬ মিটার। অথচ তার ছয় বছর পর আরেকটা জরিপ করে ‘চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন। তারা ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু থেকে ফিরিঙ্গিবাজার মনোহরখালী পর্যন্ত নদীর প্রস্থ জরিপ করে।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে শাহ আমানত সেতুর নিচে কর্ণফুলী নদীর প্রবহমান ধারা ছিল ৮৬৬ মিটার প্রস্থ। এখন তা ভাটার সময় দাঁড়িয়েছে ৪১০ মিটারে এবং জোয়ারের সময় তা ৫১০ মিটার পর্যন্ত পাওয়া গেছে। তাছাড়া সেতুর উত্তর অংশে ৪৭৬ মিটার নদী ভরাট হয়ে গেছে। রাজাখালী খালের মুখে প্রশস্ততা ৪৬১ মিটার পাওয়া গেছে, যা আগে ছিল ৮৯৪ মিটার। চাক্তাই খালের মুখে এখন নদীর প্রশস্ততা ৪৩৬ মিটার, যা আগে ছিল ৯৩৮ মিটার। ফিরিঙ্গিবাজার মোড়ে নদীর প্রস্থ ছিল ৯০৪ মিটার, বন্দর কর্তৃপক্ষ খননের পর সেখানে নদী আছে ৭৫০ মিটার। বাকি অংশ বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের ইচ্ছামতো গাইড ওয়াল নির্মাণ করে চিরতরে বিলুপ্ত করে দিয়েছে বলে জরিপে বলা হয়েছে।

জরিপে আরও বলা হয়, ২০১৬ সালে নদী ভরাট করে গড়ে তোলা মাছবাজার, বরফকল, অবৈধ দখল ও ভেড়া মার্কেটের কারণে চাক্তাই খালের মোহনা এলাকায় কর্ণফুলী নদীর প্রবহমান ধারা কমে দাঁড়ায় ৪৬১ মিটারে। মূলত কর্ণফুলী নদী অবৈধ দখলের কারণে এর প্রশস্ততা কমছে বলে অভিযোগ নদী রক্ষা আন্দোলনকারী ও বিশেষজ্ঞদের।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান দিগন্ত বার্তা কে বলেন, ‘দখল ও দূষণের কারণে নদী ছোট হয়ে আসছে। আর দেশের অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ হচ্ছে কর্ণফুলী। দিন দিন বাড়ছে নদীর জায়গা দখল আর দূষণ। দখল-উচ্ছেদের জন্য নদী কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নোটিশ দেওয়ার এতগুলো দিন কেটে গেলেও রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে না প্রশাসন। যা মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এদিকে, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গত ২৮ আগস্ট ১৫ দিনের মধ্যে কর্ণফুলীর মোহনাসহ নদী তীরের অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলেছে। অথচ সেই বেধে দেওয়া সময় পার হলেও কোনো সংস্থাই এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

একই বিষয়ে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান দিগন্ত বার্তা কে বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দখল ও দূষণকৃত নদী হচ্ছে কর্ণফুলী। দেশের অন্যতম এ নদীতে প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহর ও বিভিন্ন কলকারখানার তিনশ’ টনের অধিক বর্জ্য পড়ে। সেইসঙ্গে বিষাক্ত তরল বর্জ্য তো আছেই। কিন্তু কর্ণফুলী রক্ষায় মামলা চলাকালীন ২০১৬ সালে জাতীয় মৎস সমবায় সমিতিকে ১৫ বছরের জন্য চুক্তিনামা দিয়ে লিজ দেয়। যেটা রীতিমতো কর্ণফুলী নদী দখল ও ভরাট করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেছে। ২০১৯ সালের আদেশের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নতুন মাছবাজার উচ্ছেদ করা বাধ্যতামূলক ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ মাছবাজার উচ্ছেদ না করে নতুন করে বরফকল স্থাপনের জন্য কর্ণফুলী নদীর মাঝখানে শাহ আমানত ব্রিজের মাঝপিলার বরাবর ২ হাজার স্কয়ার ফিট নদী নতুন করে লিজ দিয়েছে। যা সরাসরি হাইকোর্টের আদেশের লঙ্ঘন। সেই চুক্তি বাতিল করতে ১০ দিনের সময়সীমা দিয়ে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আমরা বন্দর চেয়ারম্যানকে চিঠি দেই। সেই আবেদনের ছয়মাস হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রতিত্তোর তারা (বন্দর কর্তৃপক্ষ) দেয়নি।

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া  দিগন্ত বার্তা কে বলেন, ‘চট্টগ্রামের নদীগুলোর আশপাশে কমবেশি অবৈধ দখলদার আছে। তবে সবচেয়ে বেশি অবৈধ দখলদার রয়েছে কর্ণফুলীর পারে। গ্রামের দিক থেকেও দখলদার বেশি শহর এলাকার দিকে। সরকারি তালিকাতেই অবৈধ দখলদার আছে দুই হাজারের বেশি। আবার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশিরভাগের বর্জ্য শোধনাগার প্ল্যান্ট (ইটিপি) নেই। এসব কারখানার বর্জ্য সরাসরি কর্ণফুলীতে মিশে পানিকে দূষিত করছে। আরেকটা হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্যুয়ারেজ বর্জ্য-ব্যবস্থাপনার জন্য বর্জ্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নেই। যার কারণে চট্টগ্রাম শহরের ৬০ থেকে ৭০ লাখ মানুষের স্যুয়ারেজ বর্জ্য নদীতে পড়ছে। এটা তো সবচেয়ে বড় দুষণ।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হাইকোর্টের যে রায় ২০১৯ সালে দিয়েছিল সেখানে নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করা হয়েছে। এটা একটা ঐতিহাসিক রায়। সেই রায়ের কার্যকারিতা আসলে এখনো পর্যন্ত আমরা দেখছি না। ইতোমধ্যে দুই বছর চলে গেছে; সেটার যে নির্দেশনা ছিল তারও কার্যকারিতা নেই। নদীকে রক্ষা করার জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই নদী রক্ষা কমিশন কার্যত অকেজো। অনেকটা বলা যায়, প্রতিবন্ধী নদী রক্ষা কমিশন। তাদের কোনো কাজকর্ম নাই। তাদের কোনো ক্ষমতাও নেই এমনকি প্রয়োগও নেই। আমাদের নদীগুলোকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়; তাহলে হাইকোর্টের যে ঐতিহাসিক রায় আছে সেটার বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে সক্রিয় করতে হবে।

নদী রক্ষায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কার্যক্রম প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী  দিগন্ত বার্তা কে বলেন, ‘আমাদের কাছে যখন অভিযোগ আসে বা বিভিন্নভাবে আমরা যখন জানতে পারি তখন আমরা নোটিশ করি। আমরা সুপারিশকারী প্রতিষ্ঠান। আমাদের ইমপ্লিমেন্ট করা বা শাস্তি দেওয়ার মতন সুযোগ নেই; মানে বিধান নেই। তাই আমরা কিছু করতে পারি না। তবে আমাদের নোটিশকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন পদক্ষেপ নিতে পারেন। কিন্তু তারা যদি না করে তবে আমাদের কিছুই করার থাকবে না। আমাদের কোনো ম্যাজিস্ট্রেট নেই। থাকার কথাও না। আমরা চারিদিকে লক্ষ্য রাখি। কোথায় কি হচ্ছে তা নিয়ে কর্তৃপক্ষকে সর্তক করতে পারি। আর এটার সমস্ত দায়িত্ব প্রশাসনের। তারা যদি না করে সে বিষয়টা দেখা আমদের দায়িত্ব নয়।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ওয়েবসাইটে ‘চট্টগ্রামের নদীগুলো দখল ও দূষণমুক্ত’ থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডেফিনেটলি ভুল হইছে। আপনি কি এই বিষয়ের একটা ইমেজ দিবেন? আমি এটার এ্যাকশন নিবো।

অন্যদিকে, কর্ণফুলী নদীর পারের উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন তরফ থেকে জানানো হয়, ২০২১ সালের নভেম্বরের ৪ তারিখ পুরনায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হবে। কিন্তু সেই ঘোষণার তিন মাস কেটে গেলেও উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে প্রশাসন এর জন্য বাজেটের অভাবকেই দায়ী করছেন।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন   দিগন্ত বার্তা কে বলেন, ‘নদী রক্ষা কমিশন যে কমিটি করেছে সে কমিটি আমাদের সঙ্গে কয়েকবার মিটিং করেছে। মিটিং করে তারা বাজেট নিয়ে আসবে তারপর আমরা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে উচ্ছেদে যাব। আমার সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি; তারা (নদী রক্ষা কমিশন) বাজেট নিয়ে এলেই আমরা আগাবো। কারণ উচ্ছেদে যে পরিমাণ বাজেট লাগবে তা আমাদের নেই। এ কারণে উচ্ছেদ আটকে আছে। আশা করি এপ্রিল মাসে তারা বাজেট পাবে; পেলে আমরাও কাজ শুরু করবো।

এদিকে, কর্ণফুলী ছাড়াও চট্টগ্রামে আরও তিনটি নদী রয়েছে। তারমধ্যে দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রয়েছে। এছাড়াও সাঙ্গু নদী ও ভারত বাংলাদেশকে পৃথককারী ফেনী নদীও প্রবাহিত হয় চট্টগ্রামের বুক চিড়ে। কিন্তু অবিরত দূষণ, ভরাট, দখল-বেদখলসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে এসব নদী। কর্ণফুলীর চেয়ে অন্য নদীর পারে অবৈধ দখলদার কম থাকলেও দূষণ এখনো আছে। বরং দিনে দিনে তা বাড়ছে। যদিও বর্তমানে হালদা নদীতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষণ খুব একটা না থাকলেও তামাক চাষ, প্লোট্রি র্ফামের বর্জ্য, অন্যান্য আবাসিক এলাকার স্যুয়ারেজ খাল হয়ে বর্জ্য হালদা দূষিত করছে। সাঙ্গু নদীতে পাথর তোলা এবং তামাক চাষের কারণে দূষণের মুখে পড়েছে এ নদীটি। ভারত বাংলাদেশকে পৃথককারী ফেনী নদী যেন জীবন্মৃত এক নদী। ভারতের কারণে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে এ নদী।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com