প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ১৩, ২০২২ সময়ঃ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
।। মোঃ সিরাজুল মনির।।
বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজারে প্রায় প্রতিদিন আগুনের লেলিহান শিখার মতো আগুন জলে। দেশের প্রশাসনিক মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী না হওয়ার কারণে অঞ্চলভিত্তিক নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। নিজ নিজ এলাকায় সিন্ডিকেট তৈরীর মাধ্যমে প্রতিদিন কোন না কোন বাহানা দিয়ে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী।
এতে সাধারণ শ্রেণী পেশার মানুষ আয়ের সাথে ব্যয় ভার বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। ইনকামের সাথে খরচের কোন মিল না থাকায় নাভিশ্বাস উঠে গেছে জনগণের মাঝে। একশ্রেণীর ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি কে কাজে লাগিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা যায় একজন চা দোকানদার তার প্রতিটি পণ্যের উপর যখন ১/২ টাকা মূল্য বৃদ্ধি করে বিক্রি করে তখন তার উপরে দ্রব্যমূল্যের প্রভাব পড়ে না উল্টো প্রতিটি পণ্যের গায়ে দাম বাড়তি হওয়ার কারণে আর বার্থডে ইনকাম হচ্ছে অধিক। মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার দোকানে খেতে যাওয়া ভোক্তা। সে দোকানদার হিসেবে প্রতিটি পণ্যের বাড়তি দাম নেয়ার কারণে লাভ হচ্ছে বেশি। দ্রব্যমূল্যের হিসাব করতে গেলে তার হয়তো দৈনিক হাজার টাকা বেশি মূল্য দিয়ে জিনিসপত্র ক্রয় করতে হচ্ছে কিন্তু সে ভোক্তার কাছ থেকে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অতিরিক্ত। তার দোকানে যদি ১ হাজার কাস্টমার আসে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা লাভ করতেছে ২ হাজার টাকা। এখানে সে দাম বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেছে। এটা সারা দেশের চিত্র।
এবার আসি মুদির দোকানে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি এসবের অজুহাতে তাদের দোকানে থাকা প্রতিটি পণ্যের উপরে ৪/৫ বৃদ্ধি করে দিচ্ছে তারা এভাবে প্রতিদিন ভোক্তদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত আয়ের করতেছে।
মাঝেমধ্যে প্রশাসনিকভাবে কোন ম্যাজিস্ট্রেট দোকানে হামলা করলে সে তখন পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দেয় ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য। যা সার্বিক অর্থে ক্রেতাসাধারণের উপরেই চলে যাচ্ছে। এতে দোকানদারের কোন ক্ষতি হচ্ছে না যেটা জরিমানা দিচ্ছে তা সুদে-আসলে তুলে নিচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে।
এবার আসি পরিবহন ব্যবস্থায় লিটারের ১৫ টাকা তেলের দাম বাড়ানোর পরে সরকারিভাবে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে এতে লাভ হল পরিবহন ব্যবসায়ী দের। যেমন ১ লিটারে যদি গাড়ি চলে ১০ কিলোমিটার সে ক্ষেত্রে একটি পরিবহনে থাকা সকল যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে ২০০ টাকার অধিক। একটি পরিবহনে কমপক্ষে ২০/৩০ জন যাত্রী থাকে। এ সমস্ত হিসেব করে দেখা যায় যার কোন পরিবহন নাই যার কোনো দোকান নাই সেসব সাধারন মানুষ যুদ্ধ করে জীবন যাপন করতেছে নিত্যপণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে।
ভোক্তারা অসহায় এবং জিম্মি হয়ে পড়েছে খুচরা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পাইকারি ব্যবসায়ীদের হাতে। সে ক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ীরা কোন কিছু চিন্তা ভাবনা করেই দাম বাড়িয়ে দেয় এলাকা ভিত্তিক। একপ্রকার বাধ্য হয়ে বাড়তি দাম দিয়ে পণ্য ক্রয় করতে হয়। এ বিষয়ে গুলা দেখার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।
লেখক- ব্যবস্থাপনা পরিচালক
তানভীর এগ্রো গ্রুপ।