বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ১৩, ২০২২ সময়ঃ ৪:১০ অপরাহ্ণ

এম এস মনির চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতুতে পণ্যবাহী একটি কাভার্ডভ্যান আটকে আবারও প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ ছিল সেতুটি। আজ শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

এতে হঠাৎ করে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে ঘরে ফেরা হাজারো কর্মজীবী নারী-পুরুষকে। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানান, বোয়ালখালীর দিক থেকে ছেড়ে আসা শহরগামী পণ্যবাহী চট্টমেট্রো গ-৫১-৮৩৩ নম্বরের ভ‍্যানটি সেতুর মাঝ বরাবর এসে হঠাৎ বিকল হয়ে যায়।

সাথে-সাথেই বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এতে করে সেতুর দুই পাড়ে আটকা পড়ে শতশত গাড়ি। ক্রমান্বয়ে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে গাড়ির লাইন।

১২ মার্চ বিকেলে  সাড়ে ৪ টার দিকে পথচারীদের সহায়তায় কাভার্ডভ্যানটি সরিয়ে প্রায় দেড়ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এ সময় জ‍্যামে আটকে পরা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, সাংগঠনিক প্রোগ্রামে একটি সভায় যোগ দিতে বোয়ালখালী যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি ব্রিজের এ অবস্থা।
আমার মত শত-শত গাড়ি আটকা পড়েছে। পায়ে হেটে পার হবো তারও কোন সুযোগ নেই। বাধ‍্য হয়ে সাম্পানযোগে নদী পথে পার হতে হয়়েছেে।

উমর ফারুক নামের এক শিক্ষক জানান, স্কুল ছুটি শেষে বিকেলে বাড়ী ফেরার উদ্দেশ‍্যে সেতু পার হতে গিয়েই হঠাৎ দেখি সেতুর উপর একটি কাভার্ডভ‍্যান বিকল হয়ে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে আছে। মুহুর্তেই শত-শত গাড়ির জট লেগে যায় উভয় পাড়ে।

এতে হঠাৎ করে নিত্য যাতায়াতরত কর্মজীবী মানুষকে পড়তে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। এ সময় সেতু পারাপারে ঘরে ফেরা শত-শত কর্মজীবী নারী-পুরুষের সে যে কি অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। পায়ে হেটে সেতু পার হবে তার কোন জো নেই।

ঘন্টাখানেক পর বিকল ভ‍্যানটি সরিয়ে নিলেও যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে-হতে আরো কয়েক ঘন্টা সময় লেগে যায়।

ব্রিজের টোল অফিসে দায়িত্বরত সেকান্দর আলম নামের এক কর্মচারী ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে  বলেন, একটি কোম্পানির ভ্যান অন‍্য একটি বিকল গাড়িকে টেনে ব্রিজ পার করতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ভ‍্যানটি সরিয়ে অল্প কিছু সময় পর সেতুটি স্বাভাবিক করে দেয়া হয়। আমরা ভ‍্যানটির চালক শরীফকে আটক করেছি। তবে জনতার জটলার কারণে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মূলত তৎকালীন বৃটিশ সরকার ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এ অবস্থিত রেলওয়ে কারখানায় যাতায়াতের জন্য কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মাণ করে। এটি মূলত সেতু প্রথমদিকে সেতুতে অন্য কোনো যানবাহন চলাচল না করলেও পাকিস্তান শাসনামলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যানবাহন চলাচলের করতে এ সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এরপর থেকে এখনো পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বিদ্যমান রয়েছে। ‌ সেতুটি একমুখে হওয়ায় এক প্রান্তের যানবাহন যাওয়ার সময় অন্য প্রান্তে যানবাহন অপেক্ষায় থাকে পারা পারা হওয়ার জন্য। সেতুর মাঝখানে কোন একটা যানবাহন বিকল হলে সেদিন উভয় প্রান্তে যানবাহন আটকে সৃষ্টি হয় যানজট। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকে শত শত যানবাহন। কর্ণফুলী নদীতে আরো একটু সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। বোয়ালখালী পটিয়া সদর দক্ষিণ চট্টগ্রামের অনেক শিল্প-কারখানার বড় বড পরিবহন ভ্যান যাত্রীবাহী বাসসহ শত শত গাড়ি এ সেতু দিয়ে চলাচল করে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com