প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ৮, ২০২২ সময়ঃ ২:১৬ অপরাহ্ণ
আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ), ৮ মার্চ।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি ক¦াওমী মাদরাসা থেকে মো: সাব্বির আহম্মেদ (১১) নামে নজরানা পড়ূয়া এক শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। এক সপ্তাহেও শিশুটিকে খোঁজে না পেয়ে মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।
পরিবারা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাশের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার বলদী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মো: আলাল মিয়া স্ত্রী হুসনে আরা ও এক মাত্র শিশুপুত্র সাব্বিরকে নিয়ে ভালুকা উপজেলার হাজির বাজার মসজিদ মার্কেট এলাকার মোখলেছ মেস্তরীর বাসায় ভাড়ায় থেকে ফ্যাক্টরীতে শ্রমিকের কাজ ও মোটরসাইকেলে যাত্রী আনা নেয়া করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। শিশুপুত্র সাব্বিরকে ভালুকা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড খারুয়ালী গ্রামে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ ক্বাওমী মাদরাসায় নজরানা বিভাগে গত ২১ ফেব্রæয়ারীতে ভর্তি করান। ভর্তির সময় জানুয়ারী মাসের দুই হাজার ১০০ টাকা বেতনও পরিশোধ করতে হয়। ১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে শিশুটির পিতাকে মোবাইলে জানানো হয়, তার ছেলেকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেক খোঁজাখুজির পর শিশুটির পিতা ৬ মার্চ রোববার ভালুকা মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী (নম্বর-২৭৯) করেন। হারিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটির উচ্চতা ছিলো ৩ ফুট ৫ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা, হালকা পাতলা গড়ন এবং পরনে ছিলো কয়েরী রংয়ের পাঞ্জামী।
শিশুটির পিতা আলাল মিয়া জানান, ২৭ ফেব্রæয়ারী রোববারা সন্ধ্যায় ছেলের জন্য মাদরাসায় খাবার নিয়ে যান। তারপর মঙ্গলবার মাদরাসা থেকে মোবাইলে প্রধান হুজুর মাওলানা হুসাইন আহম্মেদ আমাকে জানান তার ছেলেকে খোঁজে পাচ্ছেননা। পরে অনেক খোঁজাখুজি করে আমার ছেলেকে না পেয়ে, আমি থানায় জিডি করি।
মাদরাসার প্রধান মাওলানা হাফেজ হুসাইন আহম্মেদ জানান, তার মাদরাসায় বিভিন্ন বিভাগে মোট ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মাঝে নজরানা বিভাগে রয়েছে ৬৩ জন শিক্ষার্থী এবং ৯ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। নজরানা বিভাগের শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতন ও খাবারসহ দুই হাজার ১০০ টাকা নেয়া হয়। ১ মার্চ শিশু শিক্ষার্থী সাব্বিরকে খোঁজে না পেয়ে তার বাবাকে মোবাইলে জানানো হয়।
মাদরাসার পরিচালক আলহাজ¦ হাতেম খান জানান, ওই শিশুটি এর আগেও দুইবার চলে গিয়ে ফিরে আসে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে ছেলেটি নিখোঁজ হলে, সাথে সাথেই তার বাবাকে জানানো হয়েছিলো।
ভালুকা মডেল থানার এসআই বিল্লাল জানান, শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়রী হওয়ার পর খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।