বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২ সময়ঃ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ

গাজীপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গাজীপুরে ব্যবসায়ী রুবেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ২২ মাস পর রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই, গাজীপুর। গত রোববার গাজীপুর আদালতে এ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্ধী দিয়েছে পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার বরাইহাটি গ্রামের মৃত আব্দুস সাহিদের ছেলে কামরুল ইসলাম (৩১)। গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় কামরুলকে পাগলা থানার বাড়ইহাটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। নৌকা থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রুবেলকে পিটিয়ে নদীতে ফেলে হত্যা করে বলে সে স্বীকার করে।
পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, ভিকটিম রুবেল মিয়া (৩২) গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত টোক নয়ন বাজারে পিঁয়াজু, নিমকি, মুড়ালী ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করতো। গত ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল বিকেল পৌন ৩টায় রুবেল মিয়া, মো. রিপন, বিমল বর্মন, নাছির উদ্দিন, মো. আরিফ, আরিফ মিয়া, দিলিপ ঘোষ টোক নয়ন বাজার নদীর ঘাট হতে ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে শ্রীপুর থানাধীন বরমী বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে তাদেরকে জুয়ারি মনে করে জুয়ার বোর্ডের টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে শীতলক্ষা নদীর উত্তর পাশে পাগলা থানার বারইহাটি বাজারের খেয়া ঘাট হতে কামরুল ইসলম ও তার সহযোগীরা অপর একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে ভিকটিম রুবেলদের নৌকার গতিরোধ করে।

একপর্যায়ে কামরুল ও তার সহযোগী খোকন মিয়া, শফিকুল ইসলাম, সাইদুল ও মো. হেভেন লাঠিসোটা নিয়ে ভিকটিম রুবেলদের নৌকায় লাফিয়ে উঠে পড়ে। এসময় রুবেলের সহযোগিরা নদীতে ঝঁাপ দিয়ে সাঁতরে তীরে উঠে আত্মরক্ষা করলেও আসামীরা রুবেলকে ধরে ফেলে। এসময় তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আসামীরা রুবেলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে রুবেল অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে আসামীরা রুবেলকে নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনার ২ দিন পর কাপাসিয়া থানাধীন টোক নগর গ্রামের মৃত আব্দুল হাই মুন্সির চর জমি সংলগ্ন নদীর কিনারে ভিকটিম রুবেল মিয়ার অর্ধ গলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের বাবা মো. মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা নং-০৬ দায়ের করেন। মামলাটি থানা পুলিশ প্রায় ৬ মাস তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় অবশেষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকার নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই গাজীপুর জেলার ওপর ন্যাস্ত হয়। ডিআইজি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার. বিপিএম (বার), পিপিএম এর তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান মামলাটি তদন্ত করেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com