বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ জানুয়ারি ২৬, ২০২২ সময়ঃ ১১:২৩ অপরাহ্ণ

আসাদুজ্জামান ফজলু দিগন্তবার্তা ডেক্স,২৬ জানুয়ারীঃ

ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড ভান্ডাব সিলমাপাড়ায় রাস্তা না থাকায় ২৬ জানুয়ারী বুধবার বিকালে রাবিয়া খাতুন (৬০) নামে এক মহিলার লাশ জানাযার মাঠে নেয়া হয় উপজলার ৫০ শয্যা সরকারী হাসপাতালের প্রাচীর টপকিয়ে ।
২৬ জানুয়ারী বুধবার সিলমা পাড়ার সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন মারা যাওয়ায় বিকালে উপজলা সরকারী হাসপাতালের প্রাচীর টপকে জানাযার জন্য লাশ নেয়া হয়। মরহুমার ভাই আছমত আলী উপস্তিত মুসল্লীদের সামনে কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, রাস্তা না থাকায় তার বোনের লাশ আনতে হয়ছে প্রাচীরের উপর দিয়ে। অথচ তাদের পরিবার হাসপাতালের জন্য দের একর জমি দিয়েছেন কিন্তু তারা চলাচলের জন্য কোন রাস্তা পাননি। ৪০ বছর যাবৎ তারা রাস্তার দুভোর্গ পোহাচ্ছে। তার মা-বাবা ও চাচাদের লাশ এভাবেই প্রাচীর টপকে পার করেছেন। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে চলাচলের জন্য একটু রাস্তা করে দেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন।
জানাযার নামাজে উপস্তিত সাবেক মেম্বার এ কে এম আবুল হোসেন জানান, সিলমা আবাসিক এলাকার প্রায় ৫০ টির মতো পরিবারের কয়কশত মানুষ রাস্তার অভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালের প্রাচীর টপকে অবর্ননীয় কষ্ট করে আসা যাওয়া করছেন। কি তারা বিভিন্ন মহলে রাস্তার জন্য আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাননি। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম জানান, সিলমা পাড়ার কয়কশত মানুষ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অভাবে দুভোর্গ পোহাচ্ছেন। দিনদিন জীবন তাদের হাট বাজার, আসভাবপত্র, খাদ্য সামগ্রী সব কিছুই বহন করত হয় উপজলা স্বাস্থকেন্দ্রের প্রাচীর টপকে। মহল্লার মসজিদের ইমাম শাহজাহান মিয়া জানান, তিনি ২৬ বছর যাবৎ এখানে ইমামতি করছেন। এ মহল্লায় রাস্তা না থাকায় কয়কশত মানুষের চলাচলের দুরাবস্া দেখ তিনি খুবই মমার্হত। মানুষ মারা গেলে প্রাচীর টপকিয়ে লাশ আনা নেয়া করতে হয়। তার মতো মানুষের জীবনে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারেনা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ সময় স্ানীয়ভাবে কোন প্রতিকার পাননি, তাই তারা সরকারর উর্ধতন কর্তপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com