বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ ডিসেম্বর ২৬, ২০২১ সময়ঃ ৭:৪৮ অপরাহ্ণ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি, ২৬ ডিসেম্বরঃ
প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে নবজাতকের মাথা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত ‘খোদেজা হালিম হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে প্রসূতি মায়ের সেলাই কাটার পর পেট ফুলে যাওয়ায় তাঁকে পুনঃরায় ওই ক্লিনিকে আনা হয়।
স্থানীয় একাধিক ও প্রসূতির পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাইচান গ্রামের আশরাফুল ইসলামের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী স্বর্ণার (১৮) প্রসব ব্যথা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাঁকে গত ১৯ ডিসেম্বর (রবিবার) খোদেজা হালিম হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসেন। পরে, ক্লিনিক কতৃর্পক্ষ জরুরি ভিত্তিতে প্রসূতির অপারেশন করার পরামর্শ দেন। অতঃপর, ক্লিনিকের মালিক ডা. ইমরুল কায়সারের স্ত্রী ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের কিডনি ইউনিটে কর্মরত ডা. আয়েশা তাইয়্যেবা ওইদিন বিকেলে প্রসূতি স্বর্ণার সিজারিয়ান অপারেশন করেন। তবে, অপারেশনকালে নবজাতকের মাথার একপাশ কেটেফেলেন। পরে, নবজাতক ও তার মাকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি রাখা হয়। নির্ধারিত সময় পর হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ রোগি ও তার ছেলে সন্তানকে ছুটি দিয়ে দেন। এদিকে, রবিবার সকালে প্রসূতির পরিবার খোদেজা হালিম হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কল্পনা নামের একজন মেডিক্যাল এ্যাসিস্টেন্ডকে বাড়িতে নিয়ে প্রসূতির সেলাই কাটান। তবে, সেলাই কাটার সাথে সাথেই প্রসূতির পেট ফুলতে শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
প্রসূতি স্বণা বলেন, আমার বাচ্চার মাথা কাটার পর ডাক্তার তড়িগড়ি করে আমার পেটের ভিতরের স্তর সেলাই না করেই উপরের স্তরে সেলাই করে ফেলেন এবং অপারেশনের সাতদিন পর সেলাই কাটার সাথে সাথেই আমার পেট ফুলতে শুরু করে।
ওই ক্লিনিকের মেডিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ড কল্পনা জানান, রোগির সেলাই তিনি কেটেছেন। সেলাই কাটার পর রোগির পেট ফুলে সামান্য পানি বের হয়েছে। এ রকম সমস্যা অনেক রোগির ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে।
খোদেজা হালিম হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডা. ইমরুল কায়সার  স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তাঁর স্ত্রী ডা. আয়েশা তাইয়্যেবা প্রসূতি স্বণার্র অপারেশনটি করেছেন। অপরেশনে ত্রুটি বিচ্যুতি তো কিছুটা হতেই পারে। সেলাইয়ের সমস্যার কারণে আমরা প্রসূতিকে আমাদের হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা দিচ্ছি।
ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নাই। জেনে ব্যবস্থা নিবেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com