বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২১ সময়ঃ ১২:৩৭ অপরাহ্ণ

ধোবাউড়া ( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ৬৫ বছর বয়সী বয়স্ক এক ব্যক্তি সন্ত্রাসী হামলার শিকার ; সাথে ধান বিক্রির নগদ ১৩৭৭০০/- এক লক্ষ ৩৭ হাজার ৭০০ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের ডেফুলিয়া পাড়ায়। ডেফুলিয়া পাড়ার আশরাফ আলীর ছেলে মফিজ উদ্দিনসহ তাঁর পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় ফরিদ ও আলী হোসেন গং সহ আরও চার/পাঁচজন। লাঠিসোটাসহ মারাত্মক ধারালো অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে বলে জানা যায়।

এ ঘটনায় বাদী মফিজ উদ্দিন বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ রবিবার রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় বিবাদী আরীফ মিয়ার সহিত আমাদের বাড়ির সীমানার বেড়া দেওয়ার বিষয় নিয়ে আমার সহোদর ছোট ভাই সোলাইমান (২৫) এর সহিত কথার কাটাকাটি’র এক পর্যায়ে বিবাদীদ্বয় দাউ, লাঠিসোটাসহ মারাত্মক ধারালো দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় আমাদের বসত বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে।

এক পর্যায়ে আমার ছোট ভাইকে খুন করার উদ্দেশ্যে তাঁর উপর সকলে চড়াও হয়। ছোট ভাই এর ডাক চিৎকার শুনে আমার বাবা আশরাফ আলী, ছোট ভাই জাকারিয়া ও চাচা নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে ফিরাতে গেলে তাঁদেরও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কিল-ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনাদায়ক নীলা ফুলা জখম করে।

বাদী মফিজ উদ্দিন আরও বলেন, আমি ফুলপুর থেকে ধান বিক্রি করে বাড়ি আসতেছি হঠাৎ ডাক চিৎকার এর আওয়াজ শুনতে পায়। এমতাবস্থায় দৌড়ে ঘটনাস্থলে গেলে আমাকেও বিবাদীগণ মারধর করে। এমনকি লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনাদায়ক ফুলা জখম করে।

ঠিক ঐ সময় বিবাদী আরীফ আমার পড়নে থাকা শার্টের বাম বুক পকেটে থাকা ধান বিক্রির নগদ ১৩৭৭০০/- (এক লক্ষ সাইত্রিশ হাজার সাত শত) টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন টর্চ লাইট নিয়ে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

আমার বাবা আশরাফ আলী ৬৫ কে চিকিৎসার জন্য ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। বর্তমানে ৬৫ বছরের বয়স্ক আশরাফ আলী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৬ জন আসামী উল্লেখ পূর্বক ধোবাউড়া থানায় অভিযোগ করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। এ বিষয়ে ধোবাউড়া থানার এসআই কামাল বলেন, আগামীকাল আমি ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যাবো।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com