বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ জুন ৯, ২০২৪ সময়ঃ ৭:৫২ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার,দিগন্তবার্তা ডটকম।।
শিক্ষিকা স্ত্রীর মানসিক অত্যাচার সইতে না পেরে বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে গেলেও উল্টো যৌতুক মামলা দিয়ে আব্দুল ওয়াদুদ নামে এক স্কুল শিক্ষককে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আলোচিত এ শিক্ষক দম্পতিকে নিয়ে এলাকায় চলছে বেশ তোলপাড়।
স্থানীয়রা জানান, গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের দীঘিরপাড় বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে উপজেলা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন পৌর শহরের খায়রুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মাস শেষে স্বামী আব্দুল ওয়াদুদের বেতনের পুরো টাকাই নিয়ে যেতেন স্ত্রী খাদিজা। স্বামী ও স্ত্রী দুই জনই সরকারী চাকুরিজীবী। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী দুই জনের বেতনের টাকা কিভাবে কোথায় খরচ করতেন তার কোন হিসেব দিতেন না খাদিজা খাতুন। এমনকি স্ত্রীর দুর্বব্যবহার ও মানসিক অত্যাচারের কারণে সংসার খরচের হিসেব চাওয়ারও সাহস পেতেন না প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ। তার কোন কথাই শুনতেন না স্ত্রী খাদিজা। বরং স্বামীর ওপর সব সময় কর্তৃত্ব বজায় রাখতেন খাদিজা। স্ত্রীর কাছে প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদের কোন ব্যক্তি স্বাধীনতা ছিলো না। স্ত্রী খাদিজার কাছে তিনি ছিলেন জিম্মি। অবাধ্য স্ত্রীর অত্যাচার ও জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে সম্প্রতি ওয়াদুদ মিয়া নিজের গ্রামের বাড়িতে চলে যান। উপজেলার পাগলা থানার আমাটিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে একাকী শান্তিপূর্ণভাবেই বসবাস করছিলেন প্রধান শিক্ষক ওয়াদুদ। তিনি পরিতাপ প্রকাশ করে বলেন, দাজ্জাল স্ত্রীর কবল থেকে মুক্ত হয়ে মনে হয়েছে আমি জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়েছি। কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎ করে আমার কাছে আদালতের একটি সমন আসে। তাতে জানতে পারি, বিয়ের ২৪ বছর পর আমার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছেন স্ত্রী খাদিজা খাতুন। তখন ভাবলাম, স্ত্রীর জেলখানা থেকে মুক্ত না হতেই এবার প্রকৃত জেলখানায় ঢুকানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত ২০০১ সালে খাদিজাকে বিবাহ করি। এর পর ২০০৪ সালে ওকে স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি দিই। যৌতুক দাবী তো দূরের কথা, ওর বেতনের টাকাও কোন দিন নিজ হাতে ধরে দেখিনি। বরং আমার বেতনের পুরো টাকাই সে নিয়ে যেত। কোন হিসাবও দিত না। হিসাব চাইলে চরম দুর্ব্যবহার করতো। এমনকি আমার পকেট খরচের টাকাও দিত না। সে মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছে, আমি নাকি জমি কিনার নামে দশ লাখ টাকা যৌতুক এনেছি। পরে নাকি নেশা করে সেই টাকা নষ্ট করে ফেলেছি। বর্তমানে আরো ১৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তাকে নাকি মারধর করেছি। এসব কাল্পনিক অভিযোগে আমার নিষ্কলুষ চরিত্রে কালিমা লেপনের দায়ে তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত। দুনিয়ার আদালতে বিচার না হলেও তার আখিরাত বরবাদ হয়ে যাবে। মামলার বিবাদী ওয়াদুদ মাষ্টার জানান, গফরগাঁও মামলার সিআর নং ১৩৬/২০২৪ইং। ময়মননিংহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যট আমলী আদালতে ধারা ২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারা মামলায় আমার এক মেয়ে ও দুই ছেলে আমার সস্মন্ধি ও ভাইরা ভাইকে স্বাক্ষী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। অতএব, যাদেরকে মামলার স্বাক্ষী করা হয়েছে তারা কেউ জানেনা যে তারা মামলার স্বাক্ষী। কিছু লোকের কুপরামর্শে আদালতে একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ দায়ের করেন। প্রায় চব্বিশ বছর ঘর সংসার ও বাসা ভাড়াসহ ছেলে মেয়ে ও স্ত্রী ভরন পোষন দিয়ে তাদের মন পেলাম না অবশেষে আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে ষৌতুক মামলা দিলেন। এ দুংখ রাখি কোথায়। মামলার বিবাদী ওয়াদুদ বলেন, বিয়ের ২৪ বছর পর মামলা দেয়ায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। তিনি আরো বলেন, আমি সংসার করতে চাই। আমার স্ত্রী আমাকে বাহিরে রেখে সে পরকীয়া করে এটা আমার সন্দেহ করাটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো।
এ ব্যাপারে শিক্ষিকা খাদিজা আক্তারের বক্তব্য জানার জন্য চেষ্টা করা হলেও মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com