প্রকাশিত হয়েছেঃ মে ৩, ২০২৪ সময়ঃ ১২:০২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সারাদেশে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপিত হচ্ছে। ভালুকায় উপজেলা পর্যায়ের ফলাফল ২ মে( বৃহস্পতিবার) বিকালে ঘোষণা করা হয়।
ভালুকা উপজেলায় এ বছর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হালিমুন্নেছা চৌধুরাণী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ১৭ টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন এ বিদ্যালয়ের দখলে।
এ বছর এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা নীনা শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক (১০ম বার) নির্বাচিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সামিউল ইসলাম শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (৫ম বার) নির্বাচিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) শরীফা বেগম শ্রেষ্ঠ স্কাউট শিক্ষক(৫ম বার) নির্বাচিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিলা আমিন লিয়া শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে। ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ত্যায়েবা ইবনাত অবনী শ্রেষ্ঠ স্কাউট। বিদ্যালয়ের স্কাউট গ্রুপ শ্রেষ্ঠ স্কাউট গ্রুপ নির্বাচিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের গার্লস গাইড শ্রেষ্ঠ গার্লস গাইড নির্বাচিত হয়েছে।
শুধু তাই নয় অন্যান্য ইভেন্টেও চমক দেখিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। খ গ্রুপ থেকে যারা শ্রেষ্ঠ হয়েছে : বাংলা কবিতা আবৃত্তি – ফাইজা নাবিলা, দেশাত্মবোধক গান – ফাইজা নাবিলা, রবীন্দ্র সঙ্গীত – নাজিফা ফাতেমা রিচি, লোক সঙ্গীত – ফাইজা নাবিলা, তাৎক্ষণিক অভিনয় – তানজিলা আমিন লিয়া, জারী গান – ফাইজা নাবিলা, ক গ্রুপ থেকে যারা শ্রেষ্ঠ হয়েছে : বিতর্ক প্রতিযোগিতা – তাসনিম দিশা, রবীন্দ্র সংগীত – জয়িতা দাস শর্মা , জারী গান – ওয়ারিশা ইসলাম মাইশা, দেশাত্মবোধক গান – জয়িতা দাস শর্মা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা নীনা বলেন, ‘আজকের এ সাফল্যে আমি অনেক আনন্দিত। আমি আমার বিদ্যালয়কে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি। আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাফল্য আমাকে আনন্দিত করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পড়াশোনার পাশাপাশি কো-কারিকুলার এক্টিভিটিসেও অনেক ভালো করছে। খেলাধুলায় বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিবছর উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ান হয়ে জেলা পর্যায়ে এমনকি জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ান হয়ে বিভাগীয় পর্যায়েও খেলছে। এছাড়াও বিভিন্ন ইভেন্টে জাতীয় পর্যায়েও পুরস্কার পেয়েছে। স্কাউটিংয়েও অনেক ভালো করছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ পদক প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট পদক অর্জন করছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার এ প্রাপ্তি আমার ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারীর। সকলের সহযোগিতার ফসল এ প্রাপ্তি। আমার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যগণ সবসময়ই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা শিক্ষা বান্ধব হওয়ায় বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। ’’