প্রকাশিত হয়েছেঃ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১ সময়ঃ ১০:৩৩ অপরাহ্ণ
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি,২৪ সেপ্টম্বরঃ
ময়মনসিংহের ভালুকায় বনবিভাগের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বনভূমিতে অবৈধভাবে করা নিমার্ণাধিন প্রাচীর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়ার পরদিন ২৪ সেপ্টটেম্বর শু’ক্রবার আবারো নিমার্ণকাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার জামিরদিয়া মৌজার ৬৭ নম্বর দাগে ডুবালিয়া দক্ষিণপাড়ায় স্থানীয় এক প্রভাবশালীর নেতৃত্বে বনবিজ্ঞপ্তিত জমিতে নিমার্ণাধিন সিমাণাপ্রচিরটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হলেও বনবিভাগ বলছে তাকে ওই দাগের অপর একটি ঘটনায় আটক করা হয়েছে।
বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামিরদিয়া মৌজার ৬৭ নম্বর দাগে ডুবালিয়া দক্ষিণপাড়ায় বনবিভাগের প্রায় ৩০ একর জমি রয়েছে। ৪ একর ৯০ শতাংশ জমি এজিসি স্পিনিং মিলের (প্রস্তাবিত) দখলে থাকায় ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারী দুদক ময়মনসিংহ অঞ্চলের সহকারী উপপরিচালক এনামুল হক ও সাধন চন্দ্র সূত্রধর এর নেতৃত্বে তৎকালিন রেঞ্জ কর্মকতার্ মোজাম্মেল হক ও বিট অফিসার আব্দুর রফিকসহ বনবিভাগের লোকজন ভালুকা মডেল থানা পুলিশের সহযোগীতায় প্রাচীরটি ভেঙে গুড়িয়ে দেন। এ ব্যাপারে ভালুকা মডেল থানা ও আদালতে মামলাও হয়েছিলো। আড়াই বছর পর এজিসি স্পিনিং মিলের (প্রস্তাবিত) পক্ষে স্থানীয় প্রভাবশালী মো: বেলাল ফকিরের নেতৃত্বে সিমানাপ্রাচীর নিমার্ণ করেন। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ দক্ষিণ (ভালুকা অঞ্চল) সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) আবু ইউসুফের নেতৃত্বে রেঞ্জ কর্মকতার্ মহিউদ্দিন ও বিট অফিসার দেওয়ান আলীসহ ভালুকা রেঞ্জের বিভিন্ন বিটের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নিমার্ণাধিন সিমাণাপ্রাচীরটি ভেঙে গুড়িয়ে দেন। এসময় এক ব্যক্তিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হলেও বনবিভাগ বলছে তাকে ওই দাগের অপর একটি ঘটনায় আটক করা হয়েছে। কিন্তু ২৪ ঘন্টা না যেতেই গতকাল শুক্রবার গুঁড়িয়ে দেয়া ওই সীমাণাপ্রাচীর পূণরায় নিমার্ণ করা শুরু করা হয়।
এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানা ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও তড়িৎ ব্যবস্থা না নেয়ায় বনবিভাগ অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে এক কর্মকতার্ জানান।
এ ব্যাপারে বেলাল ফকির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আদালতের নির্দেশনা নিয়েই আমি আমার জমিতে সীমানাপ্রাচীর নিমার্ণ করতেছিলাম। কিন্তু বনবিভাগেরর লোকজন আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তা ভেঙে দেয়।
এ ব্যাপারে ভালুকা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকতার্ মো: মহিউদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে কোন ধরণের তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেও ওই রেঞ্জের হবিরবাড়ি বিট কর্মকতার্ মোহাম্মদ দেওয়ান আলী অভিযানের কথা স্বীকার করে বলেন, এজিসি স্পিনিং মিলের (প্রস্তাবিত) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল গাফফার চৌধুরী বাদি হয়ে জামিরদিয়া মৌজায় বনবিভাগের ৬৭ নম্বর দাগটি গোপন করে আদালতে ভুল তথ্য ও ভূয়া চৌহদি দিয়ে বনবিভাগের হস্তক্ষেপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরে ওই কোম্পানীর পক্ষে স্থানীয় প্রভাবশালী বেলাল ফকিরের নেতৃত্বে সীমাণাপ্রাচীর নিমার্ণ কাজ শুরু শুরু করলে আমরা তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিই। কিন্তু পরদিন থেকে দখলকারীরা পূণরায় তাদের সীমাণাপ্রাচীরের কাজ শুরু করেন।
এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানা ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও তড়িৎ ব্যবস্থা না নেয়ায় বনবিভাগ অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে ওই কর্মকতার্ জানান।