বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ ডিসেম্বর ৮, ২০২৩ সময়ঃ ১০:১২ অপরাহ্ণ

রফিকুল ইসলাম খান, গফরগাঁও প্রতিনিধি।।
আগামীকাল গৌরবোজ্জ্বল ৯ ডিসেম্বর। ময়মনসিংহের গফরগাঁও হানাদারমুক্ত দিবস।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে হানাদারমুক্ত করতে গফরগাঁওয়ে শ্যামল মাটিকে রক্তে রঞ্জিত করে ছোট বড় অনেকগুলো যুদ্ধে অংশ নেয় মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পর অবশেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে এবং হানাদারমুক্ত হয় গফরগাঁও। মুক্তিযোদ্ধারা গফরগাঁও শহরে প্রবেশ করে। লাল সবুজের পতাকা হাতে বিজয় উল্লাস করে সর্বস্তরের মানুষ। উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। সন্তান হারানোর বেদনা ভুলে সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন মুক্তি পাগল মানুষও।
১৯৭১ এ পাক বাহিনী গফরগাঁওয়ের সর্বত্র তাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের সহযোগিতায় হাজার হাজার নিরপরাধ নারী-পুরুষ ও শিশুকে র্নিবিচারে হত্যা করে। ধর্ষন, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ করে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃর্ষ্টি করে। গফরগাঁও লঞ্চঘাটা বধ্যভূমি. মশাখালী রেলষ্টেশনের দক্ষিনে শীলা নদীর সেতুর উপর, গয়েশপুর বাজারের নিকট, নিগুয়ারী মুক্তিযোদ্ধা বাজারের নিকট শত শত মুক্তিকামী মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। যুদ্ধ হয় ৫ ডিসেম্বর মশাখালী ষ্টেশনের দক্ষিনে শীলা নদের নিয়ন্ত্রন নিয়ে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ী হলে পাক হানাদার বাহিনী পিছনে হটে গফরগাঁও সদরে আশ্রয় নিলে ইকবাল-ই-আলম কামালের নেতৃত্বে কামাল কোম্পানি এবং আফসার বাহিনীর বোমা সিরাজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর পিছু ধাওয়া করে গফরগাঁও সদরসহ উপজেলার সমস্ত এলাকা হানাদার মুক্ত করেন।
৯ ডিসেম্বর জয়ের উন্মাদনায় জ্বলে ওঠে গফরগাঁওয়ে মুক্তিকামী জনতা। এদিকে দেশ স্বাধীনের এতো বছর পরেও গফরগাঁওয়ে রক্তের স্মৃতি বধ্যভূমিগুলো রয়ে গেছে অবহেলিত ও অরক্ষিত। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর সেনানীদের আজীবন স্মরণীয় করে রাখতে ওই সব বধ্যভূমিগুলো সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের।
সেই হিসাবে ৯ ডিসেম্বর গফরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান লাভ করেছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে গফরগাঁও উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান র‌্যালি, পুস্পস্তর্বক অর্পণ ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক মোঃ আবিদুর রহমান জানান, ৯ ডিসেম্বর গফরগাঁও মুক্ত দিবসের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাহলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণায় নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com