প্রকাশিত হয়েছেঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১ সময়ঃ ৬:০১ অপরাহ্ণ
গাজীপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রধামন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রীর লুঙ্গি উদ্ধার করে টঙ্গীতে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। গত ঈদুল ফিতরের আগে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য এসব উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছিলেন। ঈদের আগেই গাজীপুর-২ (টঙ্গী-সদর) আসনের সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এর মাধ্যমে এসব উপহার সামগ্রী গাজীপুরে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছিল। কিন্তু টঙ্গী প্রেসক্লাবের গত কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হায়দার আলী, সাধারণ সম্পাদক কালিমুল্লাহ ও কোষাধ্যক্ষ মামুন যোগসাজশ করে কিছু উপহার সামগ্রী নিজেদের পছন্দের লোকজনের মাঝে বিতরণ করলেও বাকি উপহার সামগ্রী তসরুফ করেন বলে ক্লাবের সদস্যরা সাধারণ সভায় অভিযোগ করেন। এমনকি নয়া আহ্বায়ক কমিটির কাছে গত কার্যনির্বাহী কমিটির দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবী উঠে। সরকারি বিভিন্ন দফতর থেকে ক্লাবের উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধপ্রাপ্ত প্রায় ১২ লাখ টাকা গত কমিটি তসরুফ করে বলেও সাধারণ সভায় অভিযোগ করা হয়।
এদিকে সম্প্রতি আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রীর ২০টি লুঙ্গি উদ্ধার করে। পরে এসব লুঙ্গি ক্লাব সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ঈদের আগে সদস্যদের মাঝে বিতরণ না করে বিক্রির উদ্দেশ্যে গত কমিটির সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ গোপনস্থানে এসব লুঙ্গি লুকিয়ে রেখেছিল বলে ক্লাবের সাধারণ সদস্যরা অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে টঙ্গী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. শাহজাহান সিরাজ সাজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি, কোষাধ্য ও সাধারণ সম্পাদক ক্লাবের উন্ননের নামে বিভিন্ন ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল অংকের দান-অনুদান গ্রহণ করেছেন। গত সাধারণ সভায় গত কমিটির সভাপতি স্বাক্ষর বিহীন এক হিসাব বিবরণীতে প্রায় সাতাইশ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়েছেন। অথচ তারা ক্লাবের কোনো উন্নয়ন করেননি। তাদের কাছে প্রেসক্লাবের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে তারা নানা টালবাহানার আশ্রয় নিয়ে আসছেন। এমনকি দুর্নীতির দায় থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের লুঙ্গি ও ক্লাবের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুট হয়েছে মর্মে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগে থানায় জিডি করেছেন।
এদিকে এব্যাপারে গত কমিটির সভাপতি হায়দার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আলোচিত লুঙ্গিগুলো পরবর্তীতে সময়-সুযোগ মত সদস্যদের মাঝে বিতরণের জন্য রাখা হয়েছিল। তবে আহ্বায়ক কমিটিকে ক্লাবের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আয়-ব্যয়ের হিসাব ও লুঙ্গিগুলো বুঝিয়ে না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।