প্রকাশিত হয়েছেঃ নভেম্বর ১৬, ২০২৩ সময়ঃ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ
মোঃ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) এর ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ৫৭২ কোটি ১১ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়, যার রাজস্ব বাজেট ১১১ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন বাজেট ৪৬০ কোটি টাকা । একই সাথে এ সভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৪১৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটের বিপরীতে ৪০৭ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকার সংশোধিত বাজেট পাশ হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর ) বেলা ১২ টায় শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ সংস্থাপন খাতে ব্যয় ৪৫ কোটি ২২ লক্ষ, শিক্ষা খাতে ব্যয় ৮৩ লক্ষ ৫৫ হাজার, স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ, পরিচ্ছন্নতা খাতে ২৬ কোটি ৩৪ লক্ষ, বিদ্যুৎ প্রকৌশল/সড়কবাতি খাতে ৯ কোটি, সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়নে ১ কোটি ২০ লক্ষ, বিবিধ খাতে ৪ কোটি ৬৪ লক্ষ, পানি শাখায় ৪ কোটি ২৩ লক্ষ এবং উন্নয়ন হিসেবে ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজেট সভার পূর্বে বেলা ১১ টায় শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে মসিকের ২২ তম কর্পোরেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২১ তম সভার সিদ্ধান্তসমূহ দৃঢ়ীকরণ, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন, অবৈধ স্থাপনা অপসারণ, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন ও বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভার সভাপতি ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, জনকল্যাণমুখী কাজে নিজেদের আরও সম্পৃক্ত করে জনগণের সেবা করতে হবে। জনগণের নিরবচ্ছিন্ন সেবা যেন বিঘ্নিত না হয় সেদিকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে।
মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে এসব কার্যক্রমে সার্বিক সফলতার জন্য জনগণের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। জনসচেতনতা নিয়ে নাগরিকদের এসব কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণার অল্পসময়ের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনকে প্রায় ১৯শত কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছেন। নগরজুড়ে এসব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নাগরিকগণ ইতোমধ্যে এর সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। কোভিড ১৯ ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে এ কার্যক্রম আরও গতিশীল হতো, আরও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব ছিলো।
মেয়র বলেন, খাল দখল উচ্ছেদ ও সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণের ফলে সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টিতেও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলকায় সেভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি।
মেয়র খাল দখল উচ্ছেদ ও সংস্কারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
এ সভায় মসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী, অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও প্যানেল মেয়র ১ মোঃ আসিফ হোসেন ডন, প্যানেল মেয়র ২ মোঃ মাহবুবুর রহমান, প্যানেল মেয়র ৩ সামীমা আক্তার ও কাউনন্সিলরবৃন্দ, সচিব মোঃ আরিফুর রহমান, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অসীম সাহা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভাগ ও শাখা প্রধানগণ ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন।