প্রকাশিত হয়েছেঃ সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১ সময়ঃ ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাকতের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উপজেলার জামিরদিয়ার মাস্টারবাড়ি পপুলার হসপিটালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার গোপালগঞ্জ গ্রামের স্বপন মিয়া ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় একটি বাসাভাড়া নিয়ে স্বপরিবারে বসবাস করে গ্যারেজে শ্রমিকের কাজ করতেন। শনিবার সকালে স্বপনের স্ত্রী কুলসুমের (২৫) প্রসব ব্যথা দেখা দিলে স্থানীয় মাস্টারবাড়ি পপুলার হসপিটালে নিয়ে যান। পরে হসপিটাল কতর্ৃপক্ষের সাথে কথা বললে রোগীর লোকদের জানানো হয় বাচ্চা ও রোগীকে বাঁচাতে হলে দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন লাগবে। এ সময় ১৬ হাজার টাকা চুক্তি হলে নগদ ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু হসপিটাল কতর্ৃপক্ষ সিজারিয়ান অপরেশন না করে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ছেলে বাচ্চা প্রসব করান। তবে অদক্ষ্য নার্স দিয়ে ডেলিভারির করানোর কারণে বাচ্চাটি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে হসপিটাল কতর্ৃপক্ষ রোগীর লোককে বলা হয়, বাচ্চাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। কিন্তু ততক্ষনে ওই হসপিটালেই বাচ্চাটি মারা যায়।
প্রসূতির স্বামী স্বপন মিয়া জানান, তার কাছ থেকে অপারেশনের কথা বলে ১৬ হাজার টাকা চুক্তি করে অগ্রিম ১০ হাজার টাকা নেয়া হলেও নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। অদক্ষ্য নার্স দিয়ে প্রসব ও ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার নবজাতক ছেলে বাচ্চাটি এ ক্লিনিকেই মারা যায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, লাইসেন্সবিহিন পপুলার হসপিটালটিতে এর আগেও ভুল চিকিৎসার কারণে বেশ কয়েকজন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় কোনো বিচার না হওয়ায় একের পর এক মৃত্যু ঘটনা ঘটছে।
হসপিটালের মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, হসপিটারের নার্স দিয়ে নরমাল ডেলিভারি করানো পর বাচ্চার অবস্থা খারাপ হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিক্যালে রেফার করা হয়।
