বিজ্ঞাপন দিন

প্রকাশিত হয়েছেঃ সেপ্টেম্বর ২, ২০২১ সময়ঃ ৯:৩৯ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার, দিগন্তবার্তা ডেক্স,২ সেপ্টম্বরঃ

ময়মনসিংহের ভালুকার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বান্দিয়া গ্রামে সালিসের মাধ্যমে নবম শ্রেণীর ছাত্রের সাথে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীর বিয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি গত (২৯ আগস্ট) শনিবার বান্দিয়া মধ্যে পাড়ায়।

এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়,  ঘটনার দিন মেয়ে, ছেলে দুজনের মধ্যে প্রেমালাপ হচ্ছিলো। তাদেরকে এ অবস্থা দেখে  স্থথানীয় কয়েকজন লোক তাদেরকে ধরে নিয়ে আটক করে বান্দিয়া ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজিবর রহমান শাকিল ও সাবেক ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান রিটুর সাথে পরামর্শ করেন। পরে দু’মেম্বারসহ আরোও ৫/৬ জনকে নিয়ে সালিশে বসেন। সে সালিশে দুপক্ষকে মামলার মোকাদ্দমার ভয়-ভীতি দেখিয়ে দু’পক্ষকে বলা হয়, কয়েক হাজার টাকা হলে, দুজনকে বিয়ে পরিয়ে দেব। পরে এ সিদ্ধান্ত দু’পক্ষই মেনে নেন। পরে সাবেক ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান রিটু, কবির হোসেন, মানিক মিয়া, দুলাল মিয়াসহ ৫/৬ জন বান্দিয়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মৌলভী মাহবুবকে জোরপূর্বক ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে রায়হান মিয়ার কিশোরী মেয়ে একই স্কুলের ক্লাস সিক্সের ছাত্রী প্রিয়া আক্তার (১১) ও সজল মিয়ার ছেলে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ নবম শ্রেণীর ছাত্র মো. রুমান মিয়ার (১৪) বিবাহের কাজ সম্পন্ন করেন। এক গোপন সূত্রে জানা যায়, এ বাল্যবিবাহটি গ্রাম্য সালিশে অনৈতিক লেনদেনের বিনিময়ে হয়। স্থানীয় বর্তমান ইউপি সদস্য মজিবর রহমান (শাকিল) ও সাবেক মেম্বার আতিকুল রহমান (রিটু), মো. কবির হোসেনসহ কর্তিপয় কয়েজনের স্বার্থ কৌশলগত সরকারী কোন রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই বাল্যবিবাহের সিদ্ধান্ত নেন।

জানা গেছে, স্থানীয় সচেতন মহল এ বাল্যবিবাহে বাঁধা নিষেধ করলে উল্টো ধমকের শিকার হন তারা। পরে আশপাশের লোকজন চলে যায়। বর্তমান ইউপি সদস্য মজিবর রহমান (শাকিল) ও সাবেক মেম্বার আতিকুল রহমান (রিটুর) দাপটে এলাকার সহজ-সরল লোকজন তার ভয়ে কেউ কথা বলে না। এমনকি স্থানীয় আশপাশের সচেতন মহলের কোন লোকজনকে ধারেকাছেও চাপতে দেননি তারা।

বান্দিয়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাহবুব জানান, আমি গত কিছুদিন পূর্ব থেকে অনেক অসুস্থ ছিলাম। তাই আমি রাতে ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমিয়েছিলাম। এমন সময় কে বা কারা আমাকে ডাকছেন এমন আওয়াজ আসলে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি, সাবেক মেম্বার আতিকুর রহমান রিন্টুসহ ৫/৬ জন লোক আমাকে ডাকছেন। পরে আমি মসজিদ থেকে বেরিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাস করলাম এতো রাতে কি দরকার। পরে তারা আমাকে ওই ছেলে ও মেয়ের বিয়ে পড়ানোর জন্য এক প্রকার জোরপূর্বক ভাবে নিয়ে যায়।

ইউপি সদস্য মজিবর রহমান (শাকিল)  ঘটনার আংশিক স্বীকার করে জানান, দু’ পক্ষেরর মাঝে সমযোতা না হওয়ায় শালিশ শেষ না করেই আমি বাড়ি চলে গিয়েছিলাম, পরে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।

ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুনের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com