প্রকাশিত হয়েছেঃ জুলাই ৭, ২০২১ সময়ঃ ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
আসাদুজ্জামান ফজলু, দিগন্তবার্তা ডেক্স, ৭ জুলাই:- ময়মনসিংহের ভালুকায় বেশ কয়েকটি অবৈধ কয়লা তৈরীর কারখানায় প্রকাশ্যেই সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে চুরাই পথে আনা মূল্যবান গাছ কেটে এনে কয়লা তৈরী হচ্ছে। স্থানীয় বনবিভাগকে ম্যানেজ করেই এই অবৈধ কারখানাগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সরকারী বন উজাড়সহ প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকীর মুখে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার উথুরা রেঞ্জের আওতায় চামিয়াদি কৈয়াদি রাস্তার দক্ষিণ পাশে চামিয়াদি বাজারের কাছেই গড়ে উঠেছে আব্দুল কাদেরেরর দুইটি ও হোসেন মিয়ার তিনটি কয়লা তৈরির অবৈধ কারখানা। সরকারী বনাঞ্চল ঘেঁষে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব কারখানা শাল-গজারি, আকাশমনি, ইউক্যালিপটাস, মেহগনি ও বেলজিয়ামসহ নানা প্রজাতির কাঠ কয়লা বানানোর কাজে পুড়ানো হচ্ছে। ফলে কারখানার ধোঁয়ায় পরিবেশ হুমকির মুখে।
শিশু, বৃদ্ধ, পশু-পাখি ও বন্যপ্রাণিরা নানান পিরায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও শাল-গজারিসহ সামাজিক বনায়ন উজাড় হওয়ার পথে। সংরক্ষিত ও সামাজিক বন থেকে আনা কাঠ ওই চুলায় দিন-রাত পুড়িয়ে কয়লা বানানো হচ্ছে। তাছাড়া উপজেলার জামিরাপাড়া, উরাহাটি ও হবিরবাড়ি এলাকাতেও এই ধরণের অবৈধ চুলা রয়েছে বলে জানা গেছে। আর এসব কারখানার আশপাশে বিশাল আকৃতির কাঠ স্তুপ করে রাখা আছে। চার-পাঁচজন শ্রমিক দিন-রাত কাঠ চুলায় পোড়ানোর কাজ করছেন। দিনরাত ওইসব চুলা থেকে নির্গত ধোঁয়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে এসব এলাকার শিশু, বৃদ্ধ, গবাদি পশু-পাখিসহ ফসলও নানা রোগে আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে সামাজিক বনায়ন ও সংরক্ষিত শাল-গজারি।
কারখানার মালিকরা বলছেন, সবদিক ম্যানেজ করেই তারা তাদের কারখানা চালাচ্ছেন।
এদিকে সরকারী বনের গাছ পুড়ে কয়লা তৈরির পাশাপাশি উথুরা রেঞ্জের আওতায় ৩০/৪০ টি অবৈধ স’মিল রয়েছে। আর এসব স’ মিলে প্রকাশ্যেই চেড়াই হচ্ছে সংরক্ষিত বনের গাছ। মিল মালিকরা বলছেন, মিল প্রতি ১ হাজার টাকা বনবিভাগকে দিয়েই তারা মিল চালাচ্ছেন।
উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন উর রশিদ বলেন, আমি গত তিন মাস আগে এই রেঞ্জ যোগদান করেছি। খোঁজ নিয়ে অবৈধ সমিল ও কয়লা তৈরি কারখানার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।