প্রকাশিত হয়েছেঃ এপ্রিল ১২, ২০২২ সময়ঃ ৮:২৫ অপরাহ্ণ
গাজীপুর থেকে নিজস্ব প্রদিবেদক,১০ এপ্রিল।।
গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীর মডেল এলাকা খ্যাত ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের আউচপাড়ায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া সন্ত্রাসী কার্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। টঙ্গী তথা গাজীপুরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী, টঙ্গী সরকারি কলেজ ও টঙ্গী পাইলট স্কুল এণ্ড গার্লস কলেজ আউচপাড়ায় অবস্থিত। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরাও কিশোর গ্যাং সদস্যদর উৎপাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, রমজান মাস আসার পর কিশোর গ্যাং সদস্যদের উৎপাত বেড়ে গেছে। বিশেষ করে রাতে তারাবি নামাজের সময় কিশোর গ্যাং সদস্যদেরকে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে এলাকায় মহড়া দিতে দেখা যায়। গত শনিবার সফিউদ্দিন স্কুল মাঠে কিশোর গ্যাং সদস্যরা খেলনা পিস্তল উঁচিয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার একজন পুলিশ অফিসারকে জিম্মি করার চেষ্টা করেন। তখন সিভিল পোশাকে থাকা ওই অফিসার পুলিশ পরিচয় দিয়েও রক্ষা পাননি। কিশোর গ্যাং সদস্যরা তাকে উপর্যপুরি কিল-ঘুষি দিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় ওই দিনই সফিউদ্দিন রোডের ইব্রাহিম গ্রুপের একজন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, আউচপাড়া সফি উদ্দিন রোডের ইব্রাহিম ও সুরতরঙ্গ রোডের ইসমাইল পৃথক দুটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেয়। স্থানীয় সফি উদ্দিন রোড, মোক্তার বাড়ি রোড ও কলেজ রোড এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে ইব্রাহিম গ্রুপের সদস্যরা। অপরদিকে সুলতানা রাজিয়া রোড, সুর তরঙ্গ রোড, হাজী ইউসুফ আলী রোড, আসাদ বেপারি রোড, স্কুইব রোড এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাইলট স্কুল মার্কেট থেকে চেরাগআলী মার্কেট পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে ইসমাইল গ্রুপের সদস্যরা। ইসমাইল এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বোন আয়েশা টঙ্গী পশ্চিম থানা মহিলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক। আয়েশার সহায়তায় ইসমাইল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও স্কুইব রোডের (বেক্রিমকো সড়ক) চেরাগ আলী মার্কেটে ফুটপাতে চঁাদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে।
এব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, কিশোর ক্যাং লিডারদের পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও কিশোর গ্যাং সদস্যদেরকে চিহ্নিত করতে আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু এলাকা সিসি টিভির আওতায় এনেছি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় কিশোর ক্যাং সদস্যদের উৎপাত বেশি সেসব এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মহাসড়কে ফুটপাত উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান আছে।
#