প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ২৬, ২০২২ সময়ঃ ৬:৪৮ অপরাহ্ণ

আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ), ২৬ মার্চ।।
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে খামার তৈরী করে দীর্ঘদিন ধরে মাছচাষ করায় কারণে বিলিন হতে বসেছে অসখ্য সরকারী রাস্তা ও বসতভিটা। প্রভাবশালীরা এসব মাষচাষে জড়িত থাকার কারণে অনেকেই প্রতিবাদ করারও সাহস পাচ্ছেননা। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে এক বসতবাড়ির মালিক বাদি হয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে ভূক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালীরা বিল ভাড়া নিয়ে বছরের পর বছর মাছের চাষ করে আসছেন। খামরের পাড় মেরামত না করায় বিভিন্ন সরকারী রাস্তা ও বসতভিটা বিলিন হতে চলেছে। প্রতিবাদ করলে ভয়ভীতিসহ মামলার হুমকী পর্যন্ত দেয়া হয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাহিরপাথর গ্রামে ছোটবিলা নামক ২০ একরের বিলটি ভালুকা পৌরএলাকার বাসিন্দা জনৈক সুজন মিয়া কাঠা প্রতি বার্ষিক ৪ হাজার থেকে সাড়ে হাজার টাকায় ভাড়ায় নিয়ে ১০ বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছেন। বার বার বলার পরও পাড় মেরামত না করায় অনেকের বাড়ি ঘর হুমকীর সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। জমির মালিক তাজউদ্দিন আহম্মেদ তানভীর জানান, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই বিলে মাছ চাষ করা হচ্ছে। বাড়িভিটের অনেকটায় খামারে চলে গেছে। বার বার বলার পরও খামার মালিক তোয়াক্কা করছেন। এমনকি গত ১০ বছরে তাকে এক টাকাও ভাড়া দেননি খামার মালিক। তাছাড়া মোহাম্মদ আলী, চান মিয়া ও শাহজাহানসহ অনেকের বাড়ির পাড় ভেঙে খামারে চলে গেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক তাজউদ্দিন আহম্মেদ তানভীর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী মাছের খামারীরা অপরিকল্পিতভাবে মাছ চাষ করার কারণে বহু সরকারী রাস্তা ভেঙে খামারে বিলিন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সম্প্রতি ভালুকা পানাশাইল সড়কের খারুয়ালী এলাকায় জালাল উদ্দিন নামে এক খামারীর মাছের খামারে রাস্তাটি ধ্বসে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। পরে দ্রæত সড়কটি মেরামত করে যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তেমনি উপজেলার ভালুকা মেদিলা সড়কটির খামারের দু’পাশে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর এসব ভেঙে যাওয়া সড়কগুলো মেরামত করতে সরকারের প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
উপজেলার বাহিরপাথর ছোটবিলা মাছের খামারের মালিক সুজন মিয়া পাড় ভাঙার কথা স্বীকার করে বলেন, যেসকল বসতবাড়ির পাড় ভেঙে গেছে, তা মেরামত করে দেয়া হবে।
নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুন জানান, উপজেলার যে সকল এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা মাছের খামারের কারণে সরকারী রাস্তাসহ বসতবাড়ির ক্ষতি হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com