প্রকাশিত হয়েছেঃ ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২ সময়ঃ ৯:০৬ অপরাহ্ণ
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন— অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
কাজী হাবিবুল আউয়াল চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নের কাজী বাড়ির কাজী আব্দুল আওয়ালের সন্তান। তার পিতা কাজী আব্দুল আওয়াল ৪ নভেম্বর জেল হত্যা মামলার বাদী। জেল হত্যার সময় তিনি ডিআইজি (প্রিজন) ছিলেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল আইন সচিব, ধর্ম সচিব ও প্রতিরক্ষা সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল ২০১৪ সালের ৩ মার্চ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান। সে বছর ১ ডিসেম্বর তিনি সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার পর ২১ জানুয়ারি সরকার তাকে আবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের জন্ম ১৯৫৬ সালের ২১ জানুয়ারি। তিনি ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও ১৯৭৮ সালে এলএলএম ডিগ্রি লাভ করেন। আইনজীবী ১৯৮০ সালে তিনি বার কাউন্সিলের সনদ পান। ১৯৮১ সালে তিনি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৯৭ সালে তিনি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। বাংলাদেশ ল কমিশনের সেক্রেটারি, শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রেষণে সহকারী সচিব ও উপ সচিব হিসেবে আইন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০০ সালে তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি ২০০৪ সালে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০০৭ সালের ২৮ জুন তিনি একই মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনের পর ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল তাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এই পদেই ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে এর প্রধান করা হয়। যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাছাই করতে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন।
এর আগে সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সবার কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল নাম পাঠায়। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম পাঠান। তবে বিএনপি এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি।
সার্চ কমিটির কাছে মোট ৩২২ জনের নাম জমা পড়ে। এরপর তারা কয়েকটি বৈঠক করে ওই ৩২২ জন থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ১০ জনের এ তালিকা জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ইসির মেয়াদ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। স্বাধীনতার পর এবারই আইন অনুযায়ী প্রথম ইসি গঠিত হচ্ছে। এ জন্য গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়।