প্রকাশিত হয়েছেঃ জানুয়ারি ৯, ২০২৫ সময়ঃ ৪:৪৫ অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাইক রাইডার জুবায়েদ আহমেদ (৩১) হত্যার রহস্য উদঘাটন করে ঘটনা সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার এবং মোটর-সাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বৈলর পালপাড়া এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে নাজমুল ইসলাম (৩০), জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় উজানপাড়া এলাকার মৃত.আবুল হাসেমের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে সোনা মিয়া (৫৫) এবং বাট্টাজোড় নতুনবাজার এলাকার আব্দুল হামিদের পুত্র আব্দুল আজিজ ওরফে আনিছ (২৪)। বুধবার রাতে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানাধীন বাট্টাজোড় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ময়মনসিংহ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, গত ৩ ডিসেম্বর সকাল পৌনে ৮ টায় ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানাধীন বৈলর ইউনিয়নের বৈলর কামারপাড়া হতে বৈলর বকশীপাড়া গামী মাটির রাস্তা সংলগ্ন পুকুরের দক্ষিণ দিকে হাফওয়াল করা বাউন্ডারির ভিতরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে আছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলার ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডিজিটাল ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে উক্ত অজ্ঞাত মৃত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে। জানা যায় অজ্ঞাত মৃত ব্যক্তির নাম জুবায়েদ আহমেদ (৩১)। সে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ সুয়াইর ইউনিয়নের সামাদ তালুকদারের পুত্র। ময়মনসিংহ জেলা থানা পুলিশের মাধ্যমে খবরটি নিহত পরিবারকে জানিয়ে দেয়। উক্ত ঘটনায় পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলা ছায়া তদন্ত শুরু করে।
নিহতের বড় ভাই আজহারুল ইসলামের ত্রিশাল থানায় একটি মামলা করেন। থানা পুলিশের তদন্তকালে গত ৭ জানুয়ারি পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলা স্বউদ্যোগে মামলাটি অধিগ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেন।
পিবিআই টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মাত্র নয় দিনের মধ্যেই হত্যাকান্ডে জড়িত অজ্ঞাত আসামীদের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ রকিবুল আক্তার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস এই হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী নাজমুলের বাড়ী ত্রিশালের বৈলরে। দীর্ঘ ৫/৬ বছর যাবত সে টঙ্গীতে ওয়েলডিং এর কাজ করত। নিহত জুবায়েদের বাড়ী নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ। সে মিরপুরের শিয়ালবাড়ী থেকে বাইক রাইডার হিসেবে কাজ করত। গত ২৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায় জুবায়েদ ভাড়ার জন্য টঙ্গী স্টেশন রোডের মাথায় দাঁড়ালে সেখানে আসামী নাজমুলের সাথে দেখা হয়। নাজমুল টঙ্গী হতে ময়মনসিংহ শহরে আসা-যাওয়ার কথা বলে জুবায়েদের মোটর-সাইকেল ভাড়া করে। বৈলরে পৌঁছার পর আসামী নাজমুল তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে পাওনা টাকা নেয়ার কথা বলে জুবায়েদকে নিয়ে ঘটনাস্থল এলাকায় যায়। একপর্যায়ে আসামী নাজমুল বাইক রাইডার জুবায়েদের গলায় থাকা চাদর দিয়ে ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করে এবং ডিসিস্ট জুবায়েদ এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মোটর-সাইকেল নিয়ে চলে আসে। আসামী নাজমুল ডিসিস্টের মোবাইল ফোনটিকে ধানিখোলা বাজারে জনৈক খোকন মেকারের কাছে ২০০ টাকায় বিক্রি করে এবং মোটর-সাইকেল নিয়ে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানাধীন বাট্টাজোড় এলাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে। ২/৩ দিন পর আসামী নাজমুল মোটর-সাইকেলটি বাট্টাজোড় এলাকায় তার পরিচিত আসামী সোনা মিয়ার কাছে বাইকটি বিক্রি করে। আসামী সোনা মিয়া ছিনতাইকৃত মোটর-সাইকেলটি তার ভাতিজি জামাই আসামী আব্দুল আজিজ ওরফে আনিছ এর হেফাজতে রাখে।
তদন্তে প্রাপ্ত গ্রেফতারকৃত সকল আসামীকে গত ৮ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দুইজন আসামী বিজ্ঞ আদালতে নিজেদের সম্পৃক্ত করে ঘটনার বিবরণ উল্লেখপূর্বক ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।
সর্বশেষ খবর
- গফরগাঁওয়ে অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা মকবুল হোসেনের ইন্তেকাল
- গফরগাঁওয়ে শীতার্ত ৫ শতাধিক মানুষকে কম্বল দিলেন ডাঃ রানা
- যশোর জেলার শার্শা উপজেলা বিএনপি আংশিক কমিটি গঠন
- গফরগাঁওয়ে পুনঃ নির্মিত মসজিদ উদ্বোধন উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিল
- বাকৃবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২০২৪-২০২৫ শিক্ষা বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন