প্রকাশিত হয়েছেঃ সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১ সময়ঃ ১১:২১ পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার, দিগন্তবার্তা ডেক্স,৪ সেপ্টেম্বরঃ
ময়মনসিংহের ভালূকায় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে মাল্টা বাগানের নামে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বনভূমি জবর দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে চারাগুলো উপড়িয়ে ফেলে মামলা দায়ের করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ জানিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে এসব দখলের সাথে স্থানীয় বনবিভাগের কতিপয় অসাধূ লোক জড়িত রয়েছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে বনবিভাগ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার হবিরবাড়ি মৌজার ৬৪১ নম্বর দাগে দীর্ঘদিন ধরে বনবিজ্ঞপ্তিত কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ৪০ বিঘা জমি স্থানীয় আব্দুর রশিদ নামে এক প্রভাবশালী নামমাত্র দখল করে রেখেছিলেন। এতোদিন জমিটা অনাবাদি হিসেবে পরেছিলো। কিন্তু সম্প্রতি ওই জমির কিছু কিছু অংশে কয়েক’শ মাল্টার চারা রোপন করে স্থায়ীভাবে দখলের চেষ্টা করছিলেন। খবর পেয়ে ভালুকা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে বনবিভাগের একদল লোক ঘটনাস্থলে গিয়ে চারাগুলো উপড়ে ফেলেন।
স্থাণীয় একাধিক লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এর আগেও আব্দুর রশিদ বনবিভাগের বহু জমি কাগজপত্র নয় ছয় করে বিভিন্ন কোম্পানীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওইসব জমিতে বিশাল বিশাল শাল গজারীর বাগানও উজাড় করেছেন। ৬৪১ নম্বর দাগে ওই জমিটি প্রথম মাল্টা বাগান করে নিজের কব্জায় নিয়ে স্থাণীয় সবুজ ও হাবি নামে দুই ব্যক্তিকে সীমাণাপ্রাচীর নিমার্ণের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। আর এসব দখলের সাথে স্থানীয় বনবিভাগের কতিপয় অসাধূ ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন বলে তাদের অভিযোগ।
মাল্টার চারা লাগানোর কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ জানান, ৬৪১ দাগে তার ৪০ বিঘা জমি ডিমারগেশন রয়েছে এবং তা রিদিশিা নামে এক কোম্পানীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, বনবিভাগের লোকজন ভুল করে তার মাল্টার চারাগুলো উপড়ে ফেলেছে। অবশ্য পরে তারা ভুল স্বীকারও করেছেন।
ভালুকা রেঞ্জের হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা দেওয়ান আলী জানান, দখলের উদ্যেশ্যে বনবিজ্ঞপ্তিত জমিতে অবৈধভাবে লাগানো শতাধিক মাল্টা চারা উপড়িয়ে ফেলা হলেও নির্দিষ্ট ভাবো লোক সনাক্ত করতে না পারায় এখনো মামলা রুজু করা সম্ভব হয়নি।
ভালুকা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জানান, হবিরবাড়ি মৌজার ৬৪১ নম্বর দাগে বনবিজ্ঞপ্তিত জমি দখলের উদ্দেশ্যে মাল্টা বাগান করার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায় এবং শতাধিক চারা উপড়িয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে অবৈধ দখলকারীর বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরেরর প্রস্তুতি চলছে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com